বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার ভয়ে ছিলেন ভিনিসিউস

Vinicius Jr
ভিনিসিউস জুনিয়র। ফাইল ছবি

ক্লাব ফুটবল মৌসুমের মাঝামাঝি এবার বিশ্বকাপ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে চোটে স্বপ্ন ভেঙ্গেছে একাধিক তারকার। সপ্তাহখানেক আগেও ক্লাব ফুটবল চলতে থাকায় প্রতিপক্ষের বাজে ট্যাকলে ভয়ে সময় পার করছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিউস জুনিয়র ও রদ্রিগো।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে ছিটকে যান সেনেগালের তারকা সাদিও মানে। বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়ে বাদ পড়েন ফ্রান্সের পল পগবা আর এনগোলো কান্তে। চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয় কাজ করা তাই স্বাভাবিকই। পরিসংখ্যানও জানান দিচ্ছে কতটা ঝুঁকিতে ছিলেন ভিনিসিউস।

স্প্যানিশ লা লিগার চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি ৪৯বার ফাউল করা হয় ভিনিসিউসকে। রদ্রিগো ফাউলের শিকার হন ১৮বার। মাঠে এসব বিষয়ে মিটে গেলেও কয়েকটি ফাউল যে ভয়ংকর ছিল বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, 'মাঠের ঘটনা আমরা মাঠেই ফেলে আসি। তবে এবার প্রতিপক্ষ (ফাউলের ক্ষেত্রে) অনেক বিপদজনক ছিল। প্রতিপক্ষের ট্যাকলগুলো খুবই বাজে ছিল। রদ্রিগো ও আমি শেষ দিকের ম্যাচগুলোতে সমস্যায় পড়েছি। চোটে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় কিনা এমন ভয়ও কাজ করেছে।'

লা লিগার চলতি মৌসুমে ৬ গোলের পাশাপাশি তিন গোলে অবদান ছিল ভিনির। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালেও গোল করেন তিনি। ফর্ম বিচারে তাকে যে প্রতিপক্ষে টার্গেট করবে এই কথা মাথায় আছে ২২ পেরুনো তরুণের,  'দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে গেলে প্রতিপক্ষ চেপে বসতে চায়। এসব সামলাতে হবে। আমি নেইমারের কাছ থেকে শিখেছি। বার্সেলোনায় তাকে ভুগতে হয়েছে অনেক। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো যখন রিয়ালে খেলত তাকেও ভুগতে হয়েছিল।'

এবার ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আক্রমণভাগে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভিনিসিউস। কোচ তিতে এই তারকার গতি আর ড্রিবলিং মুন্সিয়ানা কাজে লাগাতে চাইবেন পুরোটা।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago