নেদারল্যান্ডস বনাম ইকুয়েডর: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় আছে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। তবে ডাচদের মুখোমুখি হওয়ার আগে কিছুটা সতর্কই থাকবে এনার ভ্যালেন্সিয়ারা। শক্তির বিচারে যে বেশ পিছিয়ে ল্যাতিন দেশটি।

ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-

কখন?

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা

কোথায়?

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, আল রাইয়ান

নজরে থাকবেন যারা

নেদারল্যান্ডসের স্টিভেন বার্গউইন, মেমফিস ডিপাইদের জ্বলে উঠার বিকল্প নেই। গত ম্যাচে গোল পাওয়া কোডি গাকপো ও ডেভি ক্লাসেনের দিকেও চেয়ে থাকবে দল।

জোড়া গোলে বিশ্বকাপ শুরু করা ভ্যালেন্সিয়াকেই নিতে হবে গুরুদায়িত্ব, যদি ভালো করতে হয় ইকুয়েডরকে।

সম্ভাব্য লাইন আপ

নেদারল্যান্ডস: (৩-৪-১-২): নোপার্ট (গোলরক্ষক), ডি লিখট, ভ্যান ডাইক, আকে, ব্লিন্ড, ডি ইয়ং, বারগুইস, ডামফ্রিস, গাকপো, বার্গউইন, মেমফিস। 

ইকুয়েডর: (৪-৩-৩) গালিন্দেজ (গোলরক্ষক), এস্তুপিনান, হিনকাফে, তরেস, প্রিসিয়াডো, মেন্দেজ, প্লাতা, ক্যাসেদো, ভ্যালেন্সিয়া, ইবাররা, সারমিয়েন্তো।

প্রেডিকশন

কাগজে কলমে এগিয়ে থাকবে নেদারল্যান্ডসই। শক্তিশালী দল নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করেই ম্যাচ জেতা উচিত ডাচদের। তবে ফুটবলে ঘটতে পারে যেকোনো কিছুই।

সম্ভাব্য স্কোর:

নেদারল্যান্ডস ৩-১ ইকুয়েডর

অন্যান্য পরিসংখ্যান

১) বিশ্বকাপে এই প্রথম লড়াই করছে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর।

২) এই নিয়ে একাদশ বারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে নেদারল্যান্ড। এর আগে তিনবার ফাইনালে খেললেও বিশ্বকাপ স্পর্শ করা হয়নি তাদের।

৩) বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের গ্রুপের শীর্ষে থেকেই মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে হারার পর ১৬টি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে দলটি।

৪) বিশ্বকাপে এটি নেদারল্যান্ডসের একাদশ আসর। রাশিয়ায় গত আসরে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা, যেখানে ২০১৪ সালে কোচ লুই ফন হালের অধীনে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল দলটি।

৫) নেদারল্যান্ডসই একমাত্র দল যারা অন্তত তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে কিন্তু কখনোই ট্রফি জিততে পারেনি। ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ২-১, ১৯৭৮ সালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৩-১ এবং ২০১০ অতিরিক্ত সময়ের পরে স্পেনের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারে দলটি।

৬) বিশ্বকাপের প্রথম গ্রুপ পর্ব থেকে কখনোই বাদ পড়েনি ডাচরা।

৭) ডাচরা তাদের শেষ ১৫টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে (পেনাল্টি শ্যুটআউট ড্র হিসাবে ধরা হয়)।

৮) এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ইকুয়েডর। এর আগে ২০০৬ সালে জার্মানিতে শেষ ষোলোতে পৌঁছেছিল তারা।

৯) ইকুয়েডর শেষ ১৮ ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে এবং ২৭টি গোল করেছে।  বহুবর্ষব্যাপী কঠিন গ্রুপে চতুর্থ হয়ে দক্ষিণ আমেরিকার শেষ স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা অর্জনের স্থানটি সুরক্ষিত করেছে।

১০) ইকুয়েডর তাদের প্রথম ম্যাচে আয়োজক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। এর আগে কখনোই আয়োজক দল প্রথম ম্যাচে হারেনি।

১১) বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ১৮ ম্যাচে ইকুয়েডর ৪৯ জন ভিন্ন খেলোয়াড়কে ব্যবহার করেছে, যা এই আসরে অংশগ্রহণ করা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে বেশি।

১২) বাছাই পর্বে তাদের শুরুর লাইন আপের গড় বয়স ছিল ২৫ বছর ৩৩৪ দিন, ল্যাতিন আমেরিকার যেকোনো দলের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী দল ছিল ইকুয়েডর।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago