শুরুতে পিছিয়ে গেলেও পরে কানাডাকে বিধ্বস্ত করল ক্রোয়েশিয়া 

রোববার কাতারের আল রাইয়ান মাঠে কানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া।
Croatia

খেলার আগের দিন আপত্তিকর মন্তব্য করে ক্রোয়েশিয়াকে চটিয়ে দিয়েছিলেন কানাডার কোচ। মাঠের খেলায় শুরুতে কিছু বুঝে উঠার আগে ক্রোয়েশিয়া গোল হজম করলে অঘটন শঙ্কাও জেগে উঠেছিল। তবে খানিক পরই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লুকা মদ্রিচের দল, মাঠ ছাড়ে বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে।

রোববার কাতারের আল রাইয়ান মাঠে কানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে 'এফ' গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আন্দ্রে ক্রামারিচ। একটি করে গোল করেন মার্কো লিভাজা ও লোভরো মাহের। কানাডার একমাত্র গোলদাতা আলফানসো ডেভিস।

খেলার শুরু হতে না হতেই এগিয়ে যায় কানাডা। দ্বিতীয় মিনিটেই কানাডাকে আনন্দে ভাসান আলফানসো।  গোলকিপারের লম্বা পাস ধরে ডানপাশে দেন কাইল লারিন, সেখান থেকে বল ধরে তাজন বুকানন বল বাড়ান বক্সে। বায়ার্ন মিউনিখ তারকা ডেভিস ছুটে এসে দারুণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে। উল্লাসে মাতে কানাডা।

গোল খেয়ে খেলায় ফিরতে মরিয়ে হয়ে উঠে  ক্রোয়েটরা। তবে সেভাবে সুযোগ আসছিল না। ২২ মিনিটে ডেজান লোভরেনের বক্সে বাড়ানো বল পা লাগাতে ব্যর্থ হন লিভাজা। ২৭ মিনিটে বল জালে জড়িয়েও অফসাইডের কারণে হতাশায় পোড়ে ক্রোয়েশিয়া।

৩৫ মিনিটে আসে দারুণ আরেক সুযোগ। ডান দিকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে লিভাজার নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন কানাডার গোলরক্ষক। খানিক পরই গোল পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। বা প্রান্তে ইভান পেরিসের ডিফেন্স চেরা পাস ধরে নির্ভুল ফিনিশিং করেন  ক্রামারিচ। সমতায় ফেরে গেল আসরের ফাইনালিস্টরা।

বিরতির খানিক আগে কানাডাকে স্তব্ধ করে দেয় ক্রোয়েশিয়া। এবার গোলদাতা লিভাজা। বক্সের ভেতর দারুণ পাস কাজে লাগাতে একদম ভুল করেননি তিনি।

৫৪ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত ক্রোয়েশিয়া। ক্রামারিচের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন কানাডার কিপার।

পরের মিনিটেই সমতায় ফেরার সুযোগ হারায় কানাডা। কর্নার থেকে তৈরি হওয়া সুযোগ তালগোল পাকায় বক্সের কাছে এসে।

৭০ মিনিটে দলকে একদম জেতার কাছে নিয়ে যান ক্রামারিচ। বক্সের মধ্যে পেরিসিচের দেওয়া বল ধরে বা পায়ের প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তিনি।

৭৮ মিনিটে সহজেই আসতে পারত চতুর্থ গোল। কানাডার বক্সে চারজন ক্রোয়েট খেলোয়াড় ঢুকে পড়েছিলেন। কানাডার কিপার মিলান বোরহান পেরিসিচের শট ফিরিয়ে দেওয়ার পর ব্রোজভিচকেও হতাশ করেন।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা চালান জুনিয়র হোইলেট। তার শট প্রতিহত হয় ক্রোয়েট গোলরক্ষকের হাতে।

ম্যাচের একদম অন্তিমে চতুর্থ গোল আদায় করে ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া।  কানাডার ডিফেন্সের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান মিরোস্লাভ ওরসিচ। দ্রুত গতিতে তিনি ছুটে যান কানাডার বক্সে। তার পাশে ছোটা মাহেরকে পাস দিলে তিনি সহজেই করেন লক্ষ্যভেদ।

এই ম্যাচের আগে আপত্তিকর মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেছিলেন জন হের্ডম্যান। ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর ঘোষণা দিতে গিয়ে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন তিনি। মাঠে নেমে শুরুতে গোল দিলেও অভিজ্ঞ ক্রোয়েশিয়ার নিখুঁত পারফরম্যান্সের মাঝে তার দলকে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি।

Comments