বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার কমেছে: বিএসএফ মহাপরিচালক

পঙ্কজ কুমার সিং
বিএসএফ মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং। ছবি: সংগৃহীত

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে অপরাধ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, কিন্তু অপরাধীরা এর সুযোগ নিচ্ছে।

নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো, কিন্তু অনুপ্রবেশের বিষয়টি রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, 'এই ফ্রন্টে (বাংলাদেশ ফ্রন্ট) কিছু ছোট আইটেমসহ মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের উদাহরণ রয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি ভালো হয়েছে।'

বিএসএফ প্রধান বলেন, 'এখানে (ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত) প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ব্যাপকভাবে কমে গেছে। কিন্তু উল্টো দিক হলো, অপরাধীরা এটা জানে এবং তারা আমাদের সৈন্যদের ওপর হামলা করে। যাইহোক, এই ধরনের পরিস্থিতিতে সৈন্যদের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।'

তিনি বলেন, ভারত সরকার 'এই ফ্রন্টের (বাংলাদেশ ফ্রন্ট) জন্য আমাদেরকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে, যেগুলো প্রাণঘাতি নয়।'

ভারত সীমান্তে নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।

পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য মোতায়েন বিএসএফের জন্য সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা, ড্রোন ও অন্যান্য মনিটরিং গ্যাজেট সংগ্রহের জন্য ৩০ কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন করেছে এবং সাড়ে ৫ হাজার ক্যামেরা বরাদ্দ করছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। পশ্চিম ও পূর্বে (যথাক্রমে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) সার্ভিল্যান্স ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহার করব।'

তার মতে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের এখতিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর বিএসএফ সীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় আরও বেশি সাফল্য পেয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ঘটনা শনাক্ত ও অপরাধীদের আটকের হার 'সামান্য বেড়েছে'।

বিএসএফের এখতিয়ার বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।

পঙ্কজ কুমার সিং বলেন, বিএসএফ কিছু কম খরচের প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান তৈরি করেছে, যা সীমান্ত এলাকায় কার্যকর নজরদারি স্থাপনে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, 'বিদেশি সরঞ্জামগুলো খুবই ব্যয়বহুল। তাই আমরা কম খরচে সেন্সর ও সার্ভিল্যান্স ডিভাইস তৈরি করেছি।'

পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোনের অবৈধ কার্যক্রম তাদের জন্য একটি 'প্রধান চ্যালেঞ্জ' বলে উল্লেখ করেন পঙ্কজ কুমার সিং।

তিনি জানান, বিএসএফ গত বছর পাকিস্তানের মাত্র একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছিল। তবে, এ বছর তারা ১৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

বিএসএফের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পাকিস্তান সীমান্তে তারা ১১৪টি ড্রোন দেখতে পেয়েছে এবং এ বছর ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ২১৮ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

6h ago