অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ না করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসির পরামর্শ

প্রয়োজন ছাড়া একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণ না করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য প্রফেসর মো. আবু তাহের।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মোতাবেক কর্মসম্পাদন, প্রমাণক সংরক্ষণ ও কমিশনে প্রেরণ সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ইউজিসি অডিটোরিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এই কর্মশালা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

আবু তাহের বলেন, বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভবন ও হল নির্মাণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত বহুতল ভবনের অধিকাংশ ফ্ল্যাটই খালি পড়ে আছে। অন্যদিকে আবাসিক হলের সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। অপ্রয়োজনে ভবন নির্মাণ করা হলে শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হবে।

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতির ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বারবার তারা সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করছেন। এতে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

নতুন প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নান্দনিক নকশা এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবাহের ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যেন এসি লাগবেই। সেখানে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন রাখা হচ্ছে না। এতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে সরকারের খরচ বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা বছরে তিনবার রাস্তা সংস্কার করারও উদাহরণ আছে। নিম্নমানের নির্মাণ সমাগ্রী ব্যবহারের ফলেই এ ঘটনা ঘটছে।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফোকাল পয়েন্ট নূর-ই আলম এবং ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলাম। প্রশিক্ষণে ১৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক ও ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago