‘গহীন অন্ধকারে’ তলিয়ে যাচ্ছেন জার্মানির ফুটবলাররা
কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারিয়েও চূড়ান্ত হতাশায় মাঠেই শুয়ে পড়তে হলো পরাক্রমশালী জার্মান ফুটবলারদের। বিশ্বকাপের অন্যতম সফল দল, চার বারের চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয় বার পেরুতে পারল না গ্রুপ পর্বের বাধা। এই চরম তিক্ত ঘটনা একদম হজম করতে পারছেন না দলটির তারকারা। মিডফিল্ডার জোশুয়া কিমিচ বলছেন এটা তার জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন, আরেক মিডফিল্ডার ইলকেয় গুন্দোগানের মতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এখন নিজেদের প্রশ্ন করার সময়।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে 'ই' গ্রুপের দুই খেলায় ফুটবল বিশ্ব দেখেছে অতি নাটকীয় রাত। সমীকরণ ছিল জার্মানি যদি কোস্টারিকাকে হারার আর স্পেন যদি জাপানকে হারায় তাহলে নকআউট পর্বে চলে যাবে দুই ফেভারিট দলই।
জার্মানি একবার পিছিয়ে পড়েও ঠিকই কোস্টারিকাকে দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে। কিন্তু ওদিকে জাপান স্পেনকে হারিয়ে দেয় ২-১ গোলে। গোল গড়ে পিছিয়ে তাই বিদায় নিতে হয় জার্মানিকে। অন্য ম্যাচের সমীকরণ না দেখতে হলে ম্যাচটা ৮ গোলে জিততে হতো জার্মানদের। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে আক্রমণের তোড় বইয়ে হাফ ডজনের বেশি সহজ সুযোগ নষ্টও ভুগিয়েছে দলটিকে।
ম্যাচ শেষে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া কিমিচ নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানান, অন্ধ গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন তিনি, 'ব্যক্তিগতভাবে আমার ক্যারিয়ারের এটা সবচেয়ে বাজে দিন। আমি ভয় পাচ্ছি আমি না গহীনে তলিয়ে যাই।'
'এটা অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে দিন। টানা দ্বিতীয়বার আমরা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলাম। এরমাঝে ইউরো থেকেও আগেভাগে বিদায় নিতে হয়েছিল। এটা খুবই তেতো ব্যাপার, যা হজম করা খুব কষ্ট হচ্ছে।'
জার্মানি নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে মূলত প্রথম ম্যাচেই। জাপানের বিপক্ষে প্রভাব বিস্তার করে খেলেও ম্যাচটি হেরে যায় তারা। সেই অঘটনের শিকার হয়ে পরের ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষেও ড্র করে। নিজেদের হাত থেকে তখনই বেরিয়ে যায় সব হিসাব নিকাশ। কোস্টারিকাকে হারাতে পারলেও স্পেন হেরে যাওয়ায় বিদায় দেখতে হচ্ছে অসহায়ভাবে। গুন্দোগান তাই বলছেন সময় এখন নিজেদের প্রশ্ন করার, 'আমরা সহজে গোল হজম করেছি, সহজে বল হারিয়ে ফেলেছি। আমরা সহজ বল গোল করতে ব্যর্থ হয়েছি।'
'গ্রুপে আমরা দল হিসেবে আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি কিংবা ব্যক্তিগতভাবেও পারিনি। আমাদের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত কি ভুল হলো।?'
Comments