বাংলাদেশ

‘এমনও পত্রিকা আছে কোনোদিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের প্রশংসা করেনি’

জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে কিছু কিছু গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে না, প্রশংসামূলক কিছুই লিখে না।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী। ছবি: সংগৃহীত

জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে কিছু কিছু গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে না, প্রশংসামূলক কিছুই লিখে না।

রোববার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর একটি ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনার ক্ষেত্রে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম "স্পিন" দেয়। আমি মনে করি বস্তুনিষ্ঠ কাজে স্পিন দেওয়াটা অনৈতিক। এ কারণে যে, আপনারা আমাদের দেশের সন্তান, বিদেশের কেউ যদি স্পিন দিত আমি কিছু মনে করতাম না।'

তিনি বলেন, 'আজ থেকে ৬০ বছর আগে আমি স্টেটসম্যান পড়তাম। কোনোদিন স্পিন দেখিনি। খবর পড়তাম। এখন খবরের চেয়ে কমেন্টসগুলো আগে চলে আসে।'

তিনি আরও বলেন, 'স্পিনের চেয়ে বড় শত্রু হল সোশ্যাল মিডিয়া। সেগুলো মানুষ যাচাই করতে পারে না। ফলে গণমাধ্যমের নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন প্রয়োজন।'

'এমনও পত্রিকা আছে, আমি নাম বলবো না, কোনোদিন বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিভাগের প্রশংসাসূচক কিছু লেখেনি। যদি ভেতরে কিছু লিখেও থাকে, সেখানে স্পিন করেছে এবং এগুলো বহুল প্রচারিত পত্রিকা,' বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনার জন্য সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ থেকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। ফলে এ সেক্টরে অনেক ভালো প্রতিবেদন হয়েছে, বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনাও হয়েছে।'

এফইআরবি চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী পরিচালক রিশান নসরুল্লাহের সঞ্চালনায় এ সময় জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন ও এই সেক্টরের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

The invisible ones

Of the over 7 crore people employed in Bangladesh, 85 percent (nearly 6 crore) are vulnerable as they work in the informal sector, which lacks basic social and legal protection, and employment benefits.

7h ago