১০০০ পেনাল্টি নিয়ে স্পেনের প্রস্তুতি!

গত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কথা। ইতালির বিপক্ষে দারুণ খেলেও স্পেনকে সেমি-ফাইনালে থামতে হয় পেনাল্টি শ্যুটআউট নামক ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে। তখনই দলের খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে। ক্লাব পর্যায়ে প্রত্যেককে এক হাজার পেনাল্টি নিয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপের মঞ্চে এবার শুরুটা দুর্দান্ত করলেও সে ধারা ধরে রাখতে পারেনি স্পেন। গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে উঠেছে নকআউট পর্বে। যেখানে এখন তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো। ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়ামদের মতো দল থাকা সত্ত্বেও যারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠে এসেছে নকআউট পর্বে। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটা তাই গড়াতে পারে টাই-ব্রেকারে।

এছাড়া এ ম্যাচ জিতলেও শিরোপা স্বপ্নে বিভোর দলটিকে পারি দিতে হবে আরও তিনটি ম্যাচ। যে কোনো সময়ই ম্যাচ গড়াতে পারে টাই-ব্রেকারে। যে কারণে এমন প্রস্তুতির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন এ স্প্যানিশ কোচ। বলার অবশ্য আরও কারণ রয়েছে। বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুটআউটে কেবল একবার জিতেছে দলটি। হেরেছে তিনবার। সবশেষটি গত বিশ্বকাপে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে। এর আগে ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং ১৯৮৬ সালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারে দলটি।

'এক বছরেরও বেশি সময় আগে, জাতীয় ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, ''বিশ্বকাপের আগে তোমাদের হোমওয়ার্ক আছে। অবশ্যই ক্লাবের হয়ে কমপক্ষে ১০০০ পেনাল্টি নিতে হবে।" এটা বলার কারণ ছিল জাতীয় দলের সঙ্গে থেকে আপনি তাদের এই প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন না।', সোমবার সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন এনরিকে।

টাই-ব্রেকারকে ভাগ্য পরীক্ষাও মানতে নারাজ এ স্প্যানিশ কোচ, 'আমি মনে করি না এটি একটি লটারি। আপনি যদি প্রায়শই অনুশীলন করেন, তাহলে আপনার পেনাল্টি নেওয়ার উপায় উন্নত হবে। স্পষ্টতই, আপনি চাপ এবং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা অনুশীলন করতে পারবেন না, তবে আপনি এটি মোকাবেলা করতে পারেন।'

'এটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে না, শ্যুটআউটে গোলরক্ষকই মুখ্য। আমাদের তিনজন গোলরক্ষকই এই ব্যাপারে ভালো। আমাদের অনুশীলনে আমাদের খেলোয়াড়রা পেনাল্টি কিক নেয়, এটা আমরা বিবেচনায় রেখেই হোমওয়ার্ক করছি,' যোগ করেন এনরিকে।

আর প্রতিপক্ষ হিসেবে মরক্কো ভড়কে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেই মনে করেন এ কোচ, 'মরক্কো এই মুহূর্তে সেরা ছন্দে রয়েছে, তারা একটি দর্শনীয় গ্রুপ পর্ব পার করে দারুণ অনুপ্রাণিত। জটিল গ্রুপে শীর্ষে থেকে শেষ করেছে তারা। তবে আমাদের অনুশীলনে আমি খুব সন্তুষ্ট, আমি নিশ্চিত যে আমাদের একটি ভাল ফলাফল এবং এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance crosses $30 billion for first time

Inward remittance rises 26.5% in Jul–Jun period

1h ago