বাংলাদেশ

‘প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না’

বাংলাদেশ সরকারকে ‘প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া বন্ধ’, রাষ্ট্র ও অন্য যে কারো মাধ্যমে অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সিভিকাস।

বাংলাদেশ সরকারকে 'প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া বন্ধ', রাষ্ট্র ও অন্য যে কারো মাধ্যমে অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সিভিকাস।

আজ বুধবার গত ১২ মাসে প্রতিবাদের সময় হওয়া হামলার ওপর এই জোটের বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এ আহ্বান জানানো হয়।

আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের আগে সিভিকাস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে ফিজি পর্যন্ত সমগ্র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই আক্রমণ ও বিধি-নিষেধের মুখে পড়ছে প্রতিবাদের অধিকার।

১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলের মৌলিক স্বাধীনতা যাচাই করে অনলাইন গবেষণা প্ল্যাটফর্ম সিভিকাস মনিটর জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের আগে, প্রতিবাদের সময় ও পরে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন।

সিভিকাস মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ১০০টি দেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের সিভিকাস মনিটর বলছে, শিক্ষার্থী, বিরোধী দল ও শ্রমিকদের বিক্ষোভে সহিংস আক্রমণ করতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় সদস্যদের ব্যবহার করেছে শাসক দল।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কার্যক্রমগুলো জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) অনুযায়ী বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

উদাহরণ টেনে সিভিকাস বলেছে, জানুয়ারিতে আউটসোর্সিং বাতিল চেয়ে আন্দোলন করার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩ জন কর্মী আহত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায়।

এ ছাড়া, ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার চেরাগ আলীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধকারী প্রায় ৫০০ পোশাক শ্রমিককে ছত্রভঙ্গ করতে শিল্প পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করলে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত মে'তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ৪০ জন ছাত্রদল নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Upazila Polls: AL, BNP struggle to keep a grip on grassroots

The upazila election has exposed how neither of the two major parties, the Awami League and BNP, has full control over the grassroots leaders.

9h ago