‘৩০০-৩৫০ হলে চিত্রটা ভিন্ন হতো’

Liton Das
লিটন দাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ভারত ৪০৯ রান করার পরই এই ম্যাচের ফল অনেকটা অনুমিতই হয়ে পড়েছিল। জিততে না পারলেও বড় রান করে কিছুটা ঝাঁজ দেখানো যেত। কিন্তু বাংলাদেশ করতে পারেনি দুইশো রানও। অধিনায়ক লিটন দাস মনে করেন জেতার চেষ্টা করাতেই দ্রুত গুটিয়ে গেছেন তারা।

প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। শনিবার চট্টগ্রামে ছিল হোয়াইটওয়াশের মিশন। তাতে ইশান কিশান, বিরাট কোহলির ব্যাটে পিষ্ট হয় বাংলাদেশ। ইশানের ২১০, কোহলির ১১৩ রানে ভারত করে ছাড়িয়ে যায় চারশো। ১৬ ওভার আগেই ১৮২ রানে আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

যে উইকেটে প্রতিপক্ষের একজন করেন ডাবল সেঞ্চুরি, আরেকজন সেঞ্চুরি। সেখানে ফিফটিও করতে পারেননি বাংলাদেশের কেউ। এর কারণ ব্যাখ্যায় লিটন জানান, পাহাড়সময় লক্ষ্য হলেও তা পেরুনোর চিন্তা ছিল তাদের,  'আজ রানটা অনেক বেশি ছিল। আজ যদি ধীরলয়ে খেলতেন, ৩০০ করতেন বা ৩২০ করতেন। কিন্তু ম্যাচ হারতেন দিনশেষে। আমরা কখনোই ম্যাচ হারার জন্য ব্যাট  করি নাই। চেষ্টা করেছি, যে যখনোই যাবে জেতার জন্য খেলবে। শিশিরের প্রভাব ছিল, অনেক কিছুই ছিল, কিন্তু দিনশেষে ম্যাচ জিততাম না (ধীরলয়ে খেললে)। আমরা যে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দরকার ছিল সেটিরই চেষ্টা করেছি।  ব্যর্থ হয়েছি। পরে এমন কোনো পরিস্থিতি আসলে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলব।'

ভারতের ইনিংসের পরই ড্রেসিং রুমে নিজেদের মধ্যে আলাপে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এই চিন্তা তাদের বহাল থাকবে সব সময়, '৪০০ হওয়ার পর টিম টক ছিল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলব। একইসঙ্গে উইকেটও রাখার চিন্তাভাবনা ছিল। তবে আক্রমণ করলে কিছু সময় আপনার উইকেট চলেই যাবে। তবে আমরা যদি ২০ ওভারে ১ উইকেটে ১২০-১৩০ রান করতাম তাহলে ভিন্ন খেলা হতো। সে জিনিসটা আমরা করতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে যদি আমরা এমন সুযোগ পাই যে ৩৭০-৩৮০ তাড়া করতে হবে তাহলে এরকম আক্রমণেই যাব। তবে এটি নিশ্চিত করব যেন তাড়াতাড়ি উইকেটগুলো না হারাই।'

Comments