মরিচের বাম্পার ফলনেও চাষির মুখে হাসি নেই

মরিচের দাম কম
মেলান্দহের হাজিপুর গ্রামে মরিচ সংগ্রহ করছেন কৃষানিরা। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

জামালপুরের চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম কম থাকায় লোকসানে কৃষক।

সার ও কীটনাশকের দাম অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের গত বছরের তুলনায় এবার বেশি খরচ হয়েছে। সার সংকটের কারণে তাদেরকে ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চরগুলোর মধ্যে চর আদ্রা, জামিরা, ছাতারিয়া, মানিকপটল, আদারভিটা, কুলকান্দি, হাজিপুর, হাজরাবাড়ি, শিধুলী, রৌহা, বাটিকামারী, শামনাগর, হরিপুর, মল্লিকপুর, চান্দেরহাওড়া, টুপকার চর ও কাপাসটিয়াসহ জেলার ২ শতাধিক গ্রামে মরিচের ভালো ফলন হয়েছে।

মরিচের দাম কম
সরিষাবাড়ীর আরামনগর বাজারে বিক্রির জন্য আনা মরিচ। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

মরিচ খেতের যত্ন ও মরিচ সংগ্রহে চাষিদের ব্যস্ত সময় পার করতেও দেখা যায়।

জামালপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলার প্রায় ২২ হাজার চাষি ৯ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমি।'

'চাষিরা প্রতি বিঘায় প্রায় ৪০ মণ ফলন পেয়েছেন। সেই হিসাবে প্রায় ১৮ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন মরিচ সংগ্রহ করতে পারবেন,' যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, অনুকূল আবহাওয়ায় কৃষকরা এ বছর ভালো ফলন পাচ্ছেন। এ ছাড়াও, যমুনা তীরবর্তী এলাকায় গত বন্যায় পলি জমায় তা মরিচের বাম্পার ফলনে সাহায্য করেছে।

মরিচের দাম কম
সরিষাবাড়ীর আরামনগর বাজার। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ৫ চরে বেশ কয়েকজন কৃষক প্রায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার হেক্টর।'

আরামনগর, আদ্রা, বাউশি, হাজরাবাড়ী, শ্যামনগর ও কালিবাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি মণ মরিচ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মেলান্দহের চাষি সুরুজ মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, '২ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছি। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ৪০ মণ মরিচ পেয়েছি। বিক্রি করেছি ৪৫ হাজার টাকায়।'

সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের কৃষক মঈনুল উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, '৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি করেছি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।'

কৃষকদের দাবি, চাষাবাদের জন্য সরকারের উচিত স্বল্প বা বিনা সুদে ঋণ দেওয়া, যাতে আর্থিক সংকট ছাড়াই পণ্য উৎপাদন সম্ভব হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

8h ago