বোল্ড হয়েও হলেন না বোল্ড!

bails
স্টাম্পের দিকে আঙুল করে হতবাক ইবাদত। পেছনে ফিরে তাকিয়ে হাসছেন শ্রেয়াস আইয়ার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/ স্টার

শ্রেয়াস আইয়ার হাসছেন, অবিশ্বাসের হাসিতে স্টাম্পের দিকে আঙুল তুলে দাঁড়িয়ে হতবাক পেসার  ইবাদত হোসেন। খানিক পর মেহেদী হাসান মিরাজ এসে স্টাম্পে ফুঁ দিতে শুরু করলেন। এমন দৃশ্যের দেখা খুব একটা পাওয়া যায় না। ইবাদতের বল শ্রেয়াসের স্টাম্পে লাগলেও যে বিস্ময়কর ভাবে বেল পড়ল না!

দিনের ৮৪তম ওভারের পঞ্চম বলের ঘটনা। ভারতের রান তখন ৪ উইকেটে ২৫৯। তিন ক্যাচ ফেলার হতাশায় কাবু বাংলাদেশের সঙ্গী প্রবল আক্ষেপ। খানিক আগে ৬৭ রানে থাকা শ্রেয়াসের সহজ ক্যাচ বাউন্ডারি লাইনে ধরতে পারেননি ইবাদত। বল করতে এসে তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি পেতে পারতেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থা হলো কই?

ইবাদতের অফ স্টাম্পমুখী বলটা একটু নিচু হয়ে গিয়েছিল। পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন শ্রেয়াস। বল আঘাত হানে স্টাম্পে, জ্বলে উঠে লাইট। আউট ভেবে উল্লাস শুরু করে দিয়ে থমকে যান ইবাদত, পেছনে ফিরে ঘটনা দেখে হাসি যেন থামছিল না শ্রেয়াসের। বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও হাসছিলেন, তবে তারের হাসিতে লুকিয়ে আছে আক্ষেপ। তখন ৭৭ রানে ছিলেন শ্রেয়াস। দিনশেষে এই ব্যাটার অপরাজিত আছেন ৮২ রানে।

bails
মেহেদী হাসান মিরাজ এসে ফুঁ দিয়ে দেখছেন কি হলো ঘটনা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

শ্রেয়াস যখন বিস্ময়কর ভাবে বেঁচে যান তখন অন্য প্রান্তে ছিলেন চেতশ্বর পূজারা। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি জানান তখন আউট মনে হয়েছিল তারও,  'সত্যি বলতে সে খুব ভাগ্যবান ছিল। আমি অন্য প্রান্ত থেকে যখন দেখলাম, ভেবেছি আউট। যদি রিপ্লে দেখেন তবে দেখবেন বেলটা উপড়ে গিয়ে আবার জায়গামত বসে গেছে। শুধু শ্রেয়াস না, দল হিসেবেই আমরা ভাগ্যবান। কাল তার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি সে কাল কিছু রান যোগ করবে। এই ধরনের উইকেটে মাঝে মাঝে আপনার ভাগ্য দরকার হয়। কিছু বল নিচু হয়ে যায়, এই ধরনের বলে আপনি আউট হতে চাইবেন না।' 

আধুনিক ক্রিকেটে এখন ব্যবহৃত হয় জিং বেলস। যা সাধারণ বেলসের তুলনায় ভারি। ক্রিকেট ম্যাচে অনেকবারই স্টাম্পে বল লেগেও বেলস না পড়ার ঘটনা আছে।

এদিন যেন বিশাল ভাগ্য সঙ্গে নিয়ে ক্রিজে এসেছিলেন শ্রেয়াস।  ফিফটির আগেও সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসানের বলে ৩০ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। কিন্তু কিপার নুরুল হাসান সোহান তা ধরে রাখতে পারেননি।

ব্যাট করার জন্য কঠিন উইকেটে শ্রেয়াসের তিনবার জীবন নিশ্চিতভাবেই ভোগাতে পারে বাংলাদেশ দলকে।

Comments

The Daily Star  | English

July charter: Commission likely to push parties for legally binding deal

Following demands from several parties, including Jamaat-e-Islami, National Citizen Party, and Islami Andolan Bangladesh, the National Consensus Commission is considering a proposal to make the July National Charter a legally binding document.

8h ago