‘চ্যালেঞ্জিং’ উইকেটে নিজেদের ভালো অবস্থানে দেখছেন পূজারা

Cheteshwar Pujara
৯০ রানের ইনিংসের পথে চেতশ্বর পূজারা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চট্টগ্রামের উইকেট এবার আর নিষ্প্রাণ নয়, প্রথম দিনে বুঝে গেছেন চেতশ্বর পূজারা। সংবাদ সম্মেলনে এসেই জানিয়ে দিলেন, এই টেস্টে ফল হবে। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করার আক্ষেপে পুড়া এই ব্যাটার ৬ উইকেট হারালেও প্রথম দিন শেষে তার দলের অবস্থান দেখছেন বেশ ভালো।

বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শেষে পরিষ্কারভাবে কোন দলকেই এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। ৯০ ওভারে ভারত তুলেছে ২৭৮ রান, ৬ উইকেট ফেলেছে বাংলাদেশ।

এদিন দিনের শুরু থেকে কিছু বল বেশ নিচু হতে দেখা গেছে। পেসারদের অনেক বল দুই বাউন্সে গেছে কিপারের হাতে। স্পিনাররা নতুন বলে পেয়েছেন শার্প টার্ন। কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে টেনে ২০৩ বলে ৯০ করেন পূজারা। তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়েছেন দিনের শেষ ভাগে।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে পূজারা জানান, উইকেটের পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব বেশি উইকেট হারাননি তারা,  'না এটা বেশি না (৬ উইকেট পড়ে যাওয়া)। পিচের দিকে দেখতে মনে হবে আমাদের ভালো রানই বোর্ডে আছে। যদি ৪/৫ উইকেট থাকত তাহলে আরও ভালো অবস্থায় থাকতাম।'

বাকি ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিনে আরও ৭২ রান যোগ করলেই স্বস্তি পাবে ভারত। অন্তত পূজারার টার্গেট পুঁজির ভাবনা তেমনই,  'এই উইকেটে ৩৫০ রান বেশ ভালো পুঁজি হবে। আমরা দেখছি উইকেটে স্পিনারদের অনেক টার্ন আছে। আমাদের দলে তিনজন স্পিনার আছে। পেস বোলারদের কিছু বল নিচু হয়ে যাচ্ছে। ব্যাট করার জন্য এটা খুব সহজ পিচ না। আশা করছি আমাদের বোলাররা কাজটা করে দেবে।'

বিভিন্ন ধাপে উইকেটের আচরণের ধরণ বিশদভাবেও ব্যাখ্যা করেছেন  ৯৭তম টেস্ট খেলা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার মতে নতুন বলে এখানে ব্যাট করা কঠিন, বল পুরনো হলে পাওয়া যায় সুবিধা। এই পরিস্থিতি তাদের দলে তিন স্পিনার থাকায় আশাবাদী তিনি,   'বাউন্সের তারতম্য প্রথম দুই ওভারেই দেখা গেছে। বল নিচ হচ্ছিল। দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পরও এমন হচ্ছিল। কিছু বল নিচু হচ্ছিল। আশা করছি এর সমস্ত সুবিধা আমরা নিতে পারব।'

'বল যখন পুরনো হয় তখন খেলা কিছুটা সহজ হয়ে যায়। বোলাররাও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারা সব সময় একই জায়গায় বল করতে পারে না তখন। ব্যাটার হিসেবে জানি কোকাবুরা বলে প্রথম ২০-৩০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় পার করে দিলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। আপনি এই ধরণের উইকেটে কখন থিতু হতে পারবেন না। আমাদের লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ওভারে একটা বল নিয়মিত টার্ন করছে। ব্যাটার হিসেবে নির্ভার থাকার উপায় নেই। ব্যাটারদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং উইকেট।'

Comments

The Daily Star  | English

July charter: Commission likely to push parties for legally binding deal

Following demands from several parties, including Jamaat-e-Islami, National Citizen Party, and Islami Andolan Bangladesh, the National Consensus Commission is considering a proposal to make the July National Charter a legally binding document.

8h ago