প্রথম দিন হিসেবে ভালো অবস্থানে আছি: তাইজুল

Taijul Islam
উইকেট নিয়ে তাইজুলের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম দিন শেষে দুই দলের কণ্ঠেই একই সুর। ভারতের হয়ে চেতশ্বর পূজারা এসে জানান, উইকেটের পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আছেন ভালো অবস্থানে। খানিক পর এসে তাইজুল ইসলামেরও একই দাবি। কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে পুরো দিনে ৩ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার অবশ্য বুঝতে পারছেন না, উইকেট পরের দিকে কেমন আচরণ করবে।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে দুই দলকে একই কাতারে রাখা যায়। দিনের একদম শেষ বলে পাওয়া উইকেটে বাংলাদেশকে খানিকটা কেউ এগিয়ে রাখলেও আপত্তি করা কঠিন।

বুধবার দিনের খেলা শেষে ভারতের পুঁজি ৬ উইকেটে ২৭৮ রান। ৮২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন শ্রেয়াস আইয়ার। তার সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। আর এক উইকেট পড়লেই খুলে যাবে ভারতের লেজ।

অবশ্য তিনটা ক্যাচ হাত ফসকে না বেরুলে লেজের দেখা পাওয়া যেত এদিনই। সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল জানান, তারা সব মিলিয়ে আছে ভালো জায়গাতেই,  'খুব যে খারাপ অবস্থানে আছি তা নয়। প্রথম দিন হিসেবে ভালো অবস্থানে আছি। তবে ক্যাচগুলো নিতে পারলে হয়তো আরও ভালো জায়গায় থাকতে পারতাম।'  

এদিন ইবাদত হোসেনের বলে ১২ রানে পূজারার ক্যাচ ছাড়েন কিপার নুরুল হাসান সোহান। পূজারা পরে থামেন ৯০ রান করে। সাকিব আল হাসানের বলে ৩০ রানে শ্রেয়াস আইয়ারকেও জীবন দেন সোহান। ৬৭ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে শ্রেয়াসের আরেক ক্যাচ ছাড়েন ইবাদত।

এতগুলো সুযোগ হাতছাড়া না হলে পরিস্থিতি হতে পারত অনেক ভিন্ন, 'ক্যাচ মিস তো গেমের একটা পার্ট। কেউ চায় না আসলে ক্যাচ মিস করতে। তারপরেও যদি আমরা ভুলগুলো না করতাম, তাহলে হয়তো আরও অবস্থানে থাকতাম।'

 ৮৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এদিন দলের সেরা বোলার তাইজুল। ধারাবাহিক জায়গায় বল রেখে ব্যাটারদের ভোগান্তিতে রেখেছেন তিনি। দিন শেষে ভারতকে অলআউট করতে না পারারও আক্ষেপ আছে তার কণ্ঠে, 'আমিও এটার সঙ্গে একমত (অলআউট করতে পারতেন প্রথম দিনে)। এটা বলতে পারেন। হয়তো দশ-পনেরো ওভার থাকতে পাঁচ-ছয়টা পড়ে যেতো। যদি  আমরা সুযোগগুলো নিতে পারতাম। তখন অলআউট করা সম্ভব ছিল। অসম্ভব ছিল না সেটা বলতে পারেন।'

চট্টগ্রামের উইকেটের আচরণ প্রথম দিন দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার অবস্থা থাকে প্রায়ই। এখানে চতুর্থ ইনিংসে গিয়ে উইকেট ভালো হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আছে। প্রথম দিন দেখে তাই আপাতত উইকেটের চরিত্র সনদ দিতে পারলেন না তাইজুল, 'বিগত ২-৩ বছরের রেকর্ড দেখলে দেখবেন ডে বাই ডে এখানের উইকেট ভালো হয়। তবে এটা কেমন হবে বোঝা যাচ্ছে না। মানে কীভাবে কী হবে সেই অনুমানটা করা যাচ্ছে না। তারপরও দেখা যাক।'

Comments

The Daily Star  | English

July charter: Commission likely to push parties for legally binding deal

Following demands from several parties, including Jamaat-e-Islami, National Citizen Party, and Islami Andolan Bangladesh, the National Consensus Commission is considering a proposal to make the July National Charter a legally binding document.

8h ago