কোপায় ফেভারিট ছিল ব্রাজিল, এখন ফ্রান্স: এমিলিয়ানো

বেঞ্চের শক্তি যাচাই করতে গিয়ে এবারের বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ হেরেছে ফ্রান্স। অন্যথায় কাতারে অসাধারণ পারফর্ম করেই ফাইনালে উঠেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ফেভারিটের তকমা থাকছে তাদের গায়েই। আর এতে কোনো আপত্তি নেই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের। প্রতিপক্ষকেই ফেভারিট শুনতে পছন্দ করেন তিনি।

দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে আগামীকাল রোববার রাতে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ফরাসিদের সামনে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতে নেওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে আলবিসেলেস্তেদের জন্য মিশন ৩৬ বছরের আক্ষেপ মেটানোর। কিন্তু ম্যাচে শক্তির বিচারে বেশ এগিয়ে রয়েছে ফরাসিরা।

ফাইনালে ফ্রান্সকে ফেভারিট তকমা দেওয়ায় এমিলিয়ানো তুলে আনেন দুই বছরের আগের কোপা আমেরিকার প্রসঙ্গ। ব্রাজিলের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া সে টুর্নামেন্টে জিতে ২৮ বছরের আন্তর্জাতিক শিরোপা খরা ঘুচিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল স্বাগতিকরা। লিওনেল মেসির অসাধারণ নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় আলবিসেলেস্তেরা।

বিশ্বকাপে এবার ফ্রান্স ফেভারিট হলেও লিওনেল মেসির কারণেই নিজেরা এগিয়ে থাকবেন বলে জানান এমিলিয়ানো, 'যখন আমরা ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা জিতেছিলাম, ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। এখানেও একই ঘটনা। এখন লোকে বলছে ফরাসিরা ফেভারিট। কিন্তু আমাদের একটা গোপন সুবিধা আছে - সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় আমাদের দলে রয়েছে।'

'প্রতিপক্ষ ফেভারিট এটা শুনতেই আমরা বেশি পছন্দ করি কারণ আমরা কাউকে শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট মনে করি না। এবং আমি সবসময় বলে থাকি, আমাদের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় আছে। এবং ভালো রক্ষণের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর অনেক সুযোগ রয়েছে,' যোগ করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।

মেসি কোপা আমেরিকার চেয়েও বিশ্বকাপে ভালো ছন্দে রয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'কোপা আমেরিকায় একজন দুর্দান্ত মেসিকে দেখেছি আমি। একজন ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। নিঃসন্দেহে কোপা আমেরিকার সেরাদের একজন কিন্তু এই বিশ্বকাপে তিনি কোপা আমেরিকার তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে আছেন। সে দুর্দান্ত খেলছে যা পুরো স্কোয়াডের শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়।'

তবে ফ্রান্সের শক্তি সম্পর্কে ভালো করেই জানেন এমিলিয়ানো। তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখেই কাজটা করতে হবে বলে সতীর্থদের সাবধান করে দেন এ গোলরক্ষক, 'জিততে হলে আপনাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আমরা যেভাবে খেলছি সেভাবে খেলে যেতে হবে, খেলার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা সবচেয়ে কঠিন একটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি, একইসঙ্গে এটি বিশ্বকাপের ফাইনালও।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh rubber imports rise 33 percent FY25

Rubber imports rose 33% last fiscal year

Bangladesh’s rubber imports surged by 33 percent year-on-year in the fiscal year 2024-25 (FY25), as local industries faced shortages due to supply disruptions from domestic producers.

13h ago