মেসির মতো আর কেউ হবে না: দি পল

যেখানেই বল, সেখানেই রদ্রিগো দি পল। কথাটা আর্জেন্টিনায় অনেকটা প্রবাদের মতো তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর বল পেয়ে সবার আগে লিওনেল মেসিকে খুঁজে বের করেন এই মিডফিল্ডার। কারণ তিনি জানেন, বল পেলে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক যে কোনো কিছুই করতে পারেন। তার দৃষ্টিতে মেসির মতো আর কেউ নন, মেসি সর্বকালের সেরা।

ক্যারিয়ারে সব অর্জন করা মেসির কেবল বিশ্বকাপটাই ছিল না। আর সেটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতেন। আর সে আক্ষেপও আগের দিন রোববার ঘুচিয়েছেন সোনালী ট্রফিতে চুমু খেয়ে। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মেসির আর্জেন্টিনা। এখন আর সর্বকালের সেরার প্রশ্নে কোনো সন্দেহ থাকছে না বলেই মনে করেন দি পল।

এমনকি মেসির মতো আর কেউ হবে না বলেও মনে করেন তিনি, 'কোনো বোকার যদি এখনও সন্দেহ থাকে... তবে (মেসির মতো) আর কেউ নেই। (সে) সর্বকালের সেরা। তার মতো কেউ হবে না। সে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ এবং সে-ই এটি পাওয়ার যোগ্য। এটা মেনে নিন, সে-ই সর্বকালের সেরা।'

মেসির মতো পুরো দলই ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে বলে মনে করেন দি পল, 'এর (বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যের) ওজন অনেক বেশি। সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হলো আমরা চিরকাল ইতিহাসে রয়ে গেলাম। আপনি যখন ছোট থাকেন, তখন থেকেই আপনি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখেন... বহু বছর ধরে আমাদের দেশ এটা (শিরোপা জিততে) করতে পারেনি। এটি এমন একটি উপহার যা আমি বাকি জীবনে সঙ্গে নিয়ে থাকব।'

'এই দলটি ইতোমধ্যেই ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। আমরা এটাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি... যখন আমরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলাম এবং আমরা ভেবেছিলাম যে এটা আমাদের এড়িয়ে যেতে পারে না। তবে এখন আপনি এটা আরও অনেক বেশি উপভোগ করতে পারেন। আমার মনে হয়, দেশের সবাই খুব খুশি,' যোগ করেন আতলেতিকো মাদ্রিদ তারকা।

তবে এ সাফল্য পেতে বেশ ভুগতে হয়েছে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। নকআউট পর্বে এসে চোট পান দি পল। সে চোট থেকে সম্পূর্ণ সেরে ওঠার আগেই নামতে হয়েছে মাঠে। তার মতো পুরো দলও ভুগেছে অনেক। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে ভীষণ চাপের মধ্যেই পড়ে যায় তারা।

শেষ পর্যন্ত শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পেরে সব কষ্ট ভুলেছেন দি পল, 'আমরা এটা করেছি, আমরা অনেক ভুগেছি। কিন্তু ভালো লাগছে। আমরা কষ্ট করতে জন্মেছি, এটাই আমাদের একত্রিত করেছে। আমরা বেঁচে থাকতে সংগ্রাম করি, তবে এটা আমি কখনোই ভুলতে পারব না। আমাদের ভালো-মন্দের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা বিজয়ী।'

শুরুর ধাক্কা সামলে নেওয়ার পর অবশ্য আর পেছনে তাকাতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। তবে ফাইনালে এসে বড় বাধার সামনে পড়ে তারা। কারণ, প্রতিপক্ষ আগের আসরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এই চ্যালেঞ্জটাও উতরে যায় দলটি। দি পলের ভাষায়, 'চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আপনাকে শেষ চ্যাম্পিয়নকে হারাতে হতো এবং আমরা তাদের পরাজিত করেছি।'

এমন কীর্তি গড়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের জন্য খুশিটা যেন আরও বেড়েছে দি পলের, 'আমি সব আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসি, সেই দেশে জন্ম নিয়ে আমি গর্বিত। আমরা দেশ ছেড়ে এসে এখন বিশ্বের শীর্ষে। আমরা সব সময় সর্বত্র দেশের পতাকা বহন করি। আমি আশা করি, তারা আমাদের সকলের মতো খুশি।'

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

9h ago