মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠবে আগে থেকেই জানতেন লেভানদোভস্কি

বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই কাতারে পাড়ি জমিয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের বিপক্ষে হারে থমকে গিয়েছিল লাখো ভক্তের স্বপ্ন। কিন্তু বিশ্বাস হারাননি লা পুল্গা ও তার সতীর্থরা, শেষ পর্যন্ত সোনালী ট্রফিটা জিতেই থেমেছে তারা। আরও একজনের বিশ্বাস ছিল আর্জেন্টিনাই জিতবে বিশ্বকাপ, তিনি আর কেউ নন পোল্যান্ড তারকা রবার্ত লেভানদোভস্কি।

কাতার বিশ্বকাপের 'সি' গ্রুপে পরস্পরের প্রতিপক্ষ ছিল আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড। ৩০ নভেম্বর রাতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নকআউট যাত্রার জটিল সমীকরণ মাথায় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ম্যাচ জিতে কোন সমীকরণ ছাড়াই শেষ ষোলোতে পাড়ি দেয় আলবিসেলেস্তেরা, অন্যদিকে হেরেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ছিটকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় পোলিশরা। ম্যাচশেষে মেসির কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেছিলেন লেভানদোভস্কি।

ফুটবলের মহাযজ্ঞ শেষে যে মেসির হাতেই শিরোপা উঠবে সেটা নাকি আগে থেকেই জানতেন বার্সেলোনা নম্বর নাইন। শনিবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্তকে লেভানদোভস্কি বলেন, 'বিশ্বকাপের আগেই আমি বলেছিলাম তারা (আর্জেন্টিনা) শিরোপা জয়ের জন্য ফেভারিট। যখনই কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, আমি বলেছি আর্জেন্টিনা ফেভারিট। এমনকি সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পরও আমি নিশ্চিত ছিলাম তারা ফাইনাল পর্যন্ত যাবে ও নিশ্চিতভাবেই এটা (বিশ্বকাপ) জিতবে।'

মেসির সঙ্গে সেদিন কি কথা হয়েছিল তা জানতে চাইলে ৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার বলেন, 'আমরা কি নিয়ে কথা বলেছি সেটা আমি বলতে চাই না কিন্তু সেটা একটা উপভোগ্য কথোপকথন ছিল। আমার মতে এই ধরণের বিষয়গুলো আপনার প্রকাশ করা উচিৎ নয় কারণ সেগুলো ব্যক্তিগত। তবে সেটা খুবই চমৎকার ছিল।'

সবশেষে মেসির প্রশংসা করতে কোনো কার্পণ্য করলেন না সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ তারকা, 'তার (মেসি) স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ফুটবলের সবকিছুই সে অর্জন করেছে, সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। এখন সে এটা (বিশ্বকাপ জয়) উপভোগ করছে, আমি কল্পনা করতে পারি তার ও তার দেশের জন্য এটার (গুরুত্ব) কতোটা। এবং সে কতোটা দারুণ খেলেছে! বিশ্ব দেখেছে সেটা।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

31m ago