লিভারপুল-ইউনাইটেডের আগ্রহ নিয়ে যা বললেন এঞ্জো

ছবি: এএফপি

মাত্র ২১ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জিতে ফেলেছেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারেই এটি সবচেয়ে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। মরুর বুকে আসরজুড়ে মাঝমাঠে অনবদ্য উপস্থিতিতে এঞ্জো কাড়েন ফুটবল দুনিয়ার নজর। ফলে তাকে এবার দলে টানতে চাইছে একাধিক নামীদামী ইংলিশ ক্লাব। তবে কাতার বিশ্বকাপে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এই আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডারের ভাবনা জুড়ে রয়েছে তার বর্তমান ক্লাব বেনফিকাই।

সদ্য সমাপ্ত ফুটবলের মহাযজ্ঞের প্রথম দুই ম্যাচ বেঞ্চে থেকে শুরু করেছিলেন ফার্নান্দেজ। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত করেন এই তরুণ। গোল করে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন ২-০ গোলের লিডও। দারুণ নৈপুণ্যের পর বাকি ম্যাচগুলোতে একাদশের অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে তার ওপরই বিশেষভাবে নির্ভর করে আলবিসেলেস্তেরা। পরে আর কোনো গোল করতে না পারলেও পোল্যান্ডের বিপক্ষে হুলিয়ান আলভারেজকে করেন গুরুত্বপূর্ণ এক অ্যাসিস্ট।

বিশ্বকাপ শেষে কাতারে ভালো করা ফুটবলারদের দলে টানতে উঠে পড়ে লেগেছে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো। ইতোমধ্যে কয়েকজন তরুণ তুর্কি খুঁজে পেয়েছেন নতুন গন্তব্যও। গোটা আসরে নিজের দারুণ পাসিং ও বিল্ড-আপ স্কিল প্রদর্শন করেন এঞ্জো। দেখান কার্যকরী লং শটের সক্ষমতাও। ফলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, দুই ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের আকর্ষণে পরিণত হয়েছেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার এই ফুটবলার।

আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শীতকালীন দলবদল। তবে নতুন ক্লাবে পাড়ি জমানো নিয়ে এখনও মাথা ঘামাচ্ছেন না এঞ্জো। কেবল বর্তমান ক্লাবকে নিয়েই ভাবছেন তিনি। ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কম তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এঞ্জো বলেছেন, 'আমি আমার ভবিষ্যৎ বা (আমার জন্য দেওয়া) প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে জানি না। এটা আমার প্রতিনিধি (এজেন্ট) দেখভাল করছে। আমি এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। বেনফিকাতেই আমার মনোযোগ। (আগামী) শুক্রবার আমাদের ম্যাচ রয়েছে।'

আগামী ৩০ ডিসেম্বর রাতে পর্তুগিজ প্রিমেইরা লিগার ম্যাচে ব্রাগার বিপক্ষে মাঠে নামবে বেনফিকা। বিশ্বকাপ জয় উদযাপনের জন্য পাওয়া ছুটি কাটিয়ে ওই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরার কথা রয়েছে এঞ্জোর। ১৩ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে বেনফিকা।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago