ম্যাড়মেড়ে ম্যাচে সহজেই জিতল মাশরাফির সিলেট

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই আগ্রাসী ব্যাটিং। ধুমধাড়াক্কা চার-ছক্কার ম্যাচ। কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুরুতে সে আমেজের কিছুই টের পাওয়া গেল না। ম্যাড়মেড়ে এক ম্যাচে সহজ জয় তুলে নিল সিলেট সিক্সার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে এক অর্থে উড়িয়ে দিয়েই আসর শুরু করল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে  ৮ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৯ রান করতে সমর্থ হয় চট্টগ্রাম। জবাবে ৪৫ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় সিলেট।

অবশ্য মিরপুরের উইকেট মানেই কম রানের খেলা। মন্থর উইকেটে এদিনও দেখা গেল একই চিত্র। অসম বাউন্সের উইকেটে সিলেটের সন্তান রেজাউর রহমান রাজার তোপে টিকতে পারনি চট্টগ্রাম। তার সঙ্গে তোপ দাগান পাক পেসার মোহাম্মদ আমিরও। ফলে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ে দলটি। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে ৯৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। 

ম্যাড়মেড়ে ম্যাচে মূলত সবার দৃষ্টি ছিল বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফির দিকে। এদিন প্রায় আট মাস পর মাঠে নেমেছিলেন এ পেসার। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন তিনি। অথচ লম্বা সময় ধরে কোনো ম্যাচ না খেলেও বল হাতে শুরুটা করে দারুণ। দারুণ কিছু আউট সুইঙ্গারে প্রথম ওভারটা প্রায় মেইডেন পেয়ে গিয়েছিলেন। শেষ বলে ওভার থ্রোর কারণে একটি রান পায় চট্টগ্রাম।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জাকির হাসানের দারুণ এক থ্রোতে মেহেদী মারুফকে রানআউট করে শুরু। এরপর রাজা ও আমিরের তোপে দাঁড়াতে পারেনি কোনো ব্যাটারই। মাত্র তিন জন খেলোয়াড় পেরেছেন দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে। হয়নি বলার মতো কোনো জুটি। আফিফ হোসেন ও আল-আমিনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ২২ রান। পুরো ইনিংসে এসেছে মাত্র ৭টি বাউন্ডারি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের স্কোরটি আসে আফিফের ব্যাট থেকে। ২৩ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২ রান করেন তিনি। ২০ বলে ১৮ রান করেন আল-আমিন। এছাড়া ওপেনার মারুফের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। সিলেটের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন রাজা। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে ২তী শিকার আমিরের। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও কলিন আকেরমান।

এরপর লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিলেটও। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেটরক্ষক উসমান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডাচ ব্যাটার আকেরমান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। গড়েন ৬৩ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় সিলেট।

এ জুটি ভাঙেন লঙ্কান স্পিনার মালিন্দা পুস্পাকুমারা। অবশ্য কিছুটা দুর্ভাগ্য ছিল জাকিরের। বল বেশ নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটে বলে করতে পারেননি। পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। এরপর বাকি কাজ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সারেন শান্ত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। ৪১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২১ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ রান করেন জাকির।

Comments

The Daily Star  | English

Students to resist AL event today

The student movement against discrimination will hold a mass gathering at Zero Point in the capital’s Gulistan today, demanding trial of the Awami League.

3h ago