মহামারির লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দেশীয় এয়ারলাইনস

স্টার ফাইল ফটো

মহামারির কারণে দেওয়া বিধিনিষেধ শিথিল করায় ২০২২ সালটি দেশের এয়ারলাইন সংস্থাগুলোর জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে।

এয়ারলাইন সংস্থাগুলো বলছে, বিধিনিষেধে উড়োজাহাজ বন্ধ থাকার ফলে তাদের যে লোকসান হয়েছিল, বিধিনিষেধ শিথিলের পর যাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সেটি কাটিয়ে উঠতে পারছে। ২০২৩ সালেও যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে তারা আরও ভালো করতে পারবে।

স্থানীয় বিমান সংস্থাগুলোর এই প্রতিক্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) মতামতের মতোই।

২০২২ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে আইএটিএ বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইন শিল্প লাভে ফিরে আসবে। কারণ এয়ারলাইন সংস্থাগুলো ২০২২ সালে এসে মহামারির প্রভাব থেকে উদ্ভূত ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে চলেছে।

বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে মন্দার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এয়ারলাইন সংস্থাগুলো ২০২৩ সালে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি নিট মুনাফা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে বিমান প্রায় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী বহন করেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে তাদের যাত্রী সংখ্যা ছিল ৯ লাখ।

'গত ৬ মাসে বিমান ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা এর আগের বছরের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি', বলেন তিনি।

বর্তমানে বিমানসহ বাংলাদেশে ৪টি স্থানীয় এয়ারলাইন সংস্থা আছে এবং 'ফ্লাই ঢাকা' নামে আরেকটি এয়ারলাইন সামনে যাত্রা শুরু করবে।

পাশাপাশি প্রায় ৩০টি বিদেশি এয়ারলাইন সংস্থাও বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৮০ লাখ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যাত্রীকে সেবা দিচ্ছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ যাত্রীই অভিবাসী শ্রমিক।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, গত বছর কয়েকটি রুটে তাদের ফ্লাইটের ৯০ শতাংশ আসনেই যাত্রী ছিল।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ১০টি অভ্যন্তরীণ রুটসহ কলকাতা, চেন্নাই, শারজাহ, দোহা, মাস্কাট, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুরের মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে।

কামরুল ইসলাম বলেন, 'বিধিনিষেধের কারণে আমরা দীর্ঘদিন অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারিনি। ২০২২ সালে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর আমরা সেই পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে আমাদের ফ্লাইটে মোট আসনের বিপরীতে টিকিট বিক্রির হার ছিল ৬০ শতাংশ, যা ২০২২ সালে বেড়ে ৮৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।'

'২০২২ সালটি ছিল আমাদের জন্য পুনরুদ্ধারের সময়। ২০২৩ সালটি ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা থেকে পুনরুদ্ধারে আমরা সক্ষম হবো', বলেন তিনি।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Local airlines look to rebound from pandemic losses

Comments

The Daily Star  | English

Biman flies high with record profit in FY25

Of its 55-year journey, the national flag carrier posted profit in 26 years

11h ago