গত ফাইনালের ব্যর্থতা পরিণত করেছে হৃদয়কে 

গত বিপিএলের ফাইনালের কথা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন ছিল ফরচুন বরিশালের। সে ওভারের প্রায় পুরোটা খেলেও ৮ রানের বেশি নিতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। মারতে পারেননি একটি বাউন্ডারিও। সে আক্ষেপ এখনও পোড়ায় তাকে। তবে তাতে পুড়ে যেন আরও খাঁটি হয়েছেন এ তরুণ। এবার বিপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে চলেছেন সিলেট সিক্সার্সের এ ব্যাটার।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের আরও একটি জয়ের নায়ক এই হৃদয়। আরও একটি ঝড়ো ফিফটি তুলে ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যকে একেবারেই মামুলী বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আগের দিন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষেও দানবীয় ব্যাটিংয়ে জয়ের নায়ক ছিলেন হৃদয়ই। 

এমন ব্যাটিংয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে গত ফাইনালের কথা। হৃদয় বলেন, '(২০২২ সালের) বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটা হওয়ার পর আমি মানসিকভাবে হতাশ ছিলাম। কারণ একটা যদি বাউন্ডারি মারতে পারতাম হয়তো বা খেলাটা একটু চেঞ্জ হতো। যদিও আমি ওই জায়গার ব্যাটার না, একদম নিচে। তারপরও একজন ব্যাটার হিসেবে আমাকে যেখানেই নামাবে সেখানেই চেষ্টা করতে হবে দলকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। তবে আমার শেষ বল পর্যন্ত চেষ্টা ছিল।'

আর সেই ব্যর্থতা যে তাকে আরও পরিণত করেছে সেটাও জানালেন এ তরুণ, 'ব্যর্থতা থেকে মানুষ সফলতার পথ খুঁজে। আমি চেষ্টা করেছি কীভাবে আরও সামনের দিকে যাওয়া যায়। আরও ভালো করা যায় এবং কী কী জিনিসগুলো উন্নতি করতে হবে। ঐভাবেই চেষ্টা করেছি আমি।'

সবমিলিয়ে গত বিপিএলের ব্যর্থতার পর নানাভাবেই নিজেকে আরও উন্নত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি, 'গত বছরে যখন খারাপ খেলেছিলাম, খেলার পর থেকেই চিন্তা করছিলাম কীভাবে উন্নতি করা যায়। তারপর থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছি, তখনই কাজ করেছি যে টি-টোয়েন্টি কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। কিছু শট নিয়ে কাজ করেছি, ছোট ছোট জিনিস পরিবর্তন করা ইনশাল্লাহ ভালো যাচ্ছে।'

'টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা কম ছিল আগে। এখন চেষ্টা করতেছি কীভাবে উন্নতি করা যায় এবং মিনিমাম রিস্ক গুলো কীভাবে নেওয়া যায়। সবসময় সাপোর্ট পাচ্ছি, উপরে ব্যাটিং করে নিজের দায়িত্বটা বুঝতে পারছি। সবসময় চেষ্টা করছি খেলা কীভাবে ক্লোজে নেওয়া যায় দলের জন্য,' যোগ করেন হৃদয়। 

দলের সবার কাছ থেকেও ভালো সমর্থন পাচ্ছেন বলে জানান তিনি, 'আমাদের স্বাধীনতাটা খুব ভালোভাবেই দেওয়া আছে দল থেকে। কোচ থেকে শুরু করে সবাই আমাদের সাপোর্ট করছে। আমরা হয়তো প্রতিদিন সফল হবো না কিন্তু যদি আমাদের এপ্রোচটা ঠিক থাকে, ম্যাক্সিমাম টাইম আমরা সফল হবো।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago