শহীদ হাফিজের পরিবারের আবেদন পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টে রিট

শহীদ সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তার পরিবারের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
শহীদ সৈয়দ হাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

শহীদ সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে 'শহীদ মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতি দিতে তার পরিবারের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বাকির হোসেন মৃধা।

একই সঙ্গে 'সার্চ কমিটি' গঠন করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার জন্যও আবেদন করা হয় রিটে।

১৯৭৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শহীদ সৈয়দ হাফিজকে 'শহীদ মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তার পরিবারের সদস্যরা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মোট ৯ বার আবেদন করেছে। তবে, প্রতিবারই তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের নবম আবেদনটিও প্রত্যাখ্যান করে।

গত বছরের ২৪ ও ৩১ অক্টোবর দ্য ডেইলি স্টারে 'Half a century gone chasing recognition' ও 'Denied Again' শীর্ষক একটি সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে উঠে আসে সৈয়দ হাফিজুর রহমানের 'শহীদ মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তার পরিবারের বিগত অর্ধ শতাব্দীর লড়াইয়ের ভোগান্তি ও দুর্ভোগের চিত্র।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে ক্র্যাক প্লাটুনের একাধিক দুর্ধর্ষ অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন সৈয়দ হাফিজুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি 'মাইন হাফিজ' নামেও পরিচিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের জুলাই বা আগস্ট মাসের এক রাতে ঢাকার ভিন্ন ৬টি অবস্থানে মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর ইস্কাটনের বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর তার ওপর চালানো হয় লোমহর্ষক নির্যাতন। ৩০ আগস্টের পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে।

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of 726 people who died during the student-led mass protests in July and August.

1h ago