'সাকিব ভাই অবসরে গেলে হয়তো এক নম্বর হতে পারবো'

ধ্বংসস্তূপের মাঝে দল যখন পরাজয়ের প্রহর গুনছিল তখন আট নম্বরে নেমে খেললেন ম্যাচ জেতানো অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। পরের ম্যাচে একই পজিশনে নেমে করলেন সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দুটি জয়ের মূল নায়কই ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একজন যোগ্য অলরাউন্ডার হিসেবে যে উঠে আসছেন সেই বাণীটা ভালোভাবেই দিয়েছেন তিনি। এখন অপেক্ষা চূড়ায় ওঠার।

তবে চূড়ায় অনেকদিন থেকেই আছেন তারই সতীর্থ সাকিব আল হাসান। সেই ২০০৯ সালে আইসিসির অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন। এরপর মাঝে দুই একবার পথচ্যুত হলেও বর্তমানে শীর্ষে সাকিবই। আর ভারতের বিপক্ষে সেই দুটি জয়ের পর মিরাজ এখন তিন নম্বরে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে শীর্ষে ওঠাও অসম্ভব নয়। কিন্তু সাকিব অবসর নেওয়ার আগে এই কাজটা কঠিন বলে মনে করেন মিরাজ।

'এক নম্বর পজিশনে যেতে গেলে আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হবে, অনেক ভালো করতে হবে। সাকিব ভাই এখনও পারফরম্যান্স করছে, সেতো পারফর্ম করে সবসময়ই। সাকিব ভাই তো একদিনে এক নম্বর ধরে রাখেনি, সে টানা ৮-১০ বছর ধরে নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডারে আছে। সাকিব ভাই আছে যতদিন, তো আমি মনে করি সাকিব ভাই-ই থাকবে সে যতদিন খেলবে। যখন সে অবসরে যাবে তখন একটা সুযোগ আসবে আমার জন্য,' ডেইলিস্টারের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলেন মিরাজ।

আর কেন হতে পারবেন না তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ অলরাউন্ডার, 'আমি যেখানে ব্যাটিং করি সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে বড় স্কোর করা কিন্তু সম্ভব না। আমি যদি উপরে ব্যাটিং করি আমার জন্য সুযোগ থাকবে। আট নম্বরে ব্যাটিং করে আমি কখনো অনেক বড় স্কোর করতে পারবো না। যদি না বাংলাদেশ দল ভেঙে পড়ে। আর এইরকম হলেও সব দিন ভালো খেলা সম্ভব না। প্লেয়ারদের তো সব দিন একই রকম যায় না। জিনিসটা এটাই উপরে ব্যাটিং করলে একটা সুযোগ থাকে। তবে এখন এই মুহূর্তে আমার কাছে মনে হয় না সুযোগ আছে।'

আর নিজে অলরাউন্ডার হতে পারলে বাংলাদেশের জন্যও ভালো বলে মনে করেন তিনি, 'একটা দলে যখন অলরাউন্ডার বেশি থাকে তখন সমন্বয় করা অনেক সহজ হয়ে যায়। সাকিব ভাই সবসময় বাংলাদেশের জন্য বড় একটা ভূমিকা রাখে। সে খেললে দুইটা জিনিস -ব্যাটিংও পাওয়া যায় বোলিংও পাওয়া যায়। সাকিব ভাই যখন না খেলে তখন বাড়তি বোলার আনতে হয়, একজন ব্যাটসম্যান কম খেলাতে হয়। আমিও চেষ্টা করছি নিজেকে ওইভাবে উন্নতি করার জন্য। আমি যদি সার্ভিস দিতে পারি ব্যাটিং-বোলিং দুটোই, তাহলে দলের জন্য অনেক বড় সুবিধা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Police baton-charge, fire tear gas on protesting engineering univ students

Around 1:30pm, the students began their procession from Shahbagh and were intercepted near the InterContinental Hotel

2h ago