লিটন-রিজওয়ানের ব্যাটে চট্টগ্রামকে হারিয়ে প্রথম জয় কুমিল্লার

শক্তি-সামর্থ্যে আসরের অন্যতম সেরা দল তারা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও বটে। কিন্তু এবারের আসরে ঠিক চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারছিল না কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। তবে অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। টানা তিনটি হারের পর প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিং ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়েছে তারা।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে স্বাগতিক দলটি। জবাবে ১৫ বল বাকি থাকেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ইমরুল কায়েসের দল।

লক্ষ্য তাড়ায় লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে কুমিল্লা। পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিজওয়ান। ২৯ রানের জুটি গড়ে পুস্পাকুমারার বলে আউট হন অধিনায়ক। এক বল পর জনসন চার্লসকেও তুলে নেন পুস্পাকুমারা। তাতে ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম।

তবে চতুর্থ উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিজওয়ান। ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে আরও একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হয়েছেন জাকের আলী। জিয়াউর রহমানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি। রিপ্লে দেখে বোঝা যাচ্ছিল স্টাম্প মিস করবে বলটি। তবে ডিআরএসের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।

তবে তাতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি কুমিল্লাকে। কারণ জয়ের ভিত গড়েই আউট হয়েছেন জাকের। আউট হওয়ার আগের দুটি বলেই মেরেছেন ছক্কা। তার বিদায়ের পর বাকি কাজ খুশদিল শাহকে নিয়ে শেষ করেন রিজওয়ান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। জাকের করেন ২২ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে ৩৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান পুস্পাকুমারা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। পাঁচ বল খেলে তানভির ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে খালি হাতে ফেরেন পাক ওপেনার উসমান খান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ম্যাক্স ও'ডয়েড। গড়েন ৪৩ রানের জুটি।

আফিফকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে আফিফকে বোল্ড করে দেন তিনি। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। হয়নি বলার মতো কোনো জুটি। তবে সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান রানাকে নিয়ে ৩৭ রানের একটি জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। ২৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২১ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করেন আফিফ। এছাড়া ও'ডয়েড করেন ২৪ রান। শেষ দিকে ৮ বলে ১৩ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন রানা।

কুমিল্লার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন খুশদিল, মোসাদ্দেক হোসেন ও তানভির। 

Comments

The Daily Star  | English

CA approves draft Anti-Terrorism Ordinance

Draft includes provision to ban an entity's activities, restrict terrorism-related content online

18m ago