লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
মাঝারি শৈতপ্রবাহ
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে ব্যাহত লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জনজীবন। ছবিটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোচাবাড়ী এলাকা থেকে তোলা ছবি। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে চলছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আজ বুধবার সকাল ৯টায় এই ২ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ছিল ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়।

আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তুহিন মিয়া।

তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বৈদ্যেরবাজার গ্রামের কৃষক নরেশ চন্দ্র বর্মণ (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত রাত থেকে বেশ ঠান্ডা। খেতে কাজের জন্য বাধ্য হয়ে যাচ্ছি। আবার বেশিক্ষণ খেতে টিকে থাকা যাচ্ছে না।'

'এভাবে ঠান্ডা বাড়তে থাকলে কাজ করতে পারবো না। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষি শ্রমিক আব্দুল মজিদ (৫০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার কারণে গত সোমবার থেকে মাঠে কাজ করতে পারছি না। আয় রোজগার না হওয়ায় ধার করে সংসার চালাচ্ছি। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলে না।'

মাঝারি শৈতপ্রবাহ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোচাবাড়ী এলাকা। ১৮ জানুয়ারি ২০২৩। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম (৫৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার কারণে কৃষি শ্রমিক মিলছে না। বাধ্য হয়েই ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিজেই আলু ও ভুট্টার খেতে কাজ করছি। কয়েকদিন আগে ঠান্ডার প্রকোপ কমেছিল। গত রোববার থেকে আবার বেড়েছে। আজ সকালে আরও বেশি ঠান্ডা পড়েছে।'

লালমনিরহাট শহরের রিকশাচালক আক্কাস আলী (৪৮) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার কারণে সকালে ও রাতে রিকশা চালাতে পারছি না। ঠান্ডা উপেক্ষা করে রিকশা নিয়ে বাইরে গেলেও যাত্রী পাচ্ছি না। আগের তুলনায় আয় কমেছে ৪০-৫০ শতাংশ।'

তিনি জানান, ঠান্ডা থেকে বাঁচতে খড়কুটার আগুন তাদের ভরসা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে কৃষিকাজ অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। এখন বোরো ধানের চারা রোপণের সময় চলছে। ঠান্ডার কারণে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা জমিতে রোপণ করতে সমস্যায় পড়ছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

7h ago