গতিতে ভারত গিয়ে ঝাঁজ ছড়াতে চান ‘বুনো’ মরিস

Lance Morris
ল্যান্স মরিস। ছবি: সংগ্রহ

তীব্র গতি আর আগ্রাসণে  অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচিত নাম ল্যান্স মরিস। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করায় তার ডাকনাম হয়ে গেছে 'দ্য ওয়াইল্ড থিং'। গতির কারণেই ভারত সফরের টেস্ট দলে আছেন তিনি। ২৪ পেরুনো এই পেসার ভারতে ঝাঁজ ছড়াতে প্রস্তুতির কোন কমতি রাখছেন না।

কদিন পরই চার টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারতে রওয়ানা হবে অস্ট্রেলিয়া দল। সেই স্কোয়াডের অন্যতম চরিত্র হতে যাচ্ছেন মরিস। চোটে থাকা মিচেল স্টার্ক প্রথম দুই টেস্টে না থাকায় খেলার সুযোগ পেয়েও পেতে পারেন ডানহাতি পেসার।

সিরিজটির আগে তাই জানালেন নিজেকে সব রকমভাবে তৈরি রাখছেন তিনি,  'আমি প্রস্তুত হতে সম্ভাব্য সব কিছুই করছি। সত্যি কথা বলতে, ওখানে খেলার এটা আমার সেরা সুযোগ। দেখা যাক কি হয়।'

' ক্রিকেটীয় দিক থেকে এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় ট্যুর হবে। কাজেই শেখার অভিজ্ঞতার জন্য এটা বিশাল কিছু।'

ভারতের উইকেটগুলোতে টানা বল করে যাওয়ার ধৈর্য দেখাতে হবে, খাটতে হবে প্রচুর। সেই ভাবনা থেকে প্রচুর হাত বল করার কোন বিকল্প দেখছেন না। এই চিন্তা থেকেই পার্থ স্করচার্সের হয়ে খেলছেন বিগ ব্যাশ,  'যদি আমি এখানে খেলি (বিগ ব্যাশ), তাহলে আমি চার ওভার বল করার সুযোগ পাই। আরও কিছু ওভার খেলার আগেও ও পরে করি। যদি আমি বাইরে থাকি তাহলে সেই সুযোগটা থাকে না। যত বেশি সম্ভব বল করতে চাই।'

গতির কারণে শন টেইটের সঙ্গে মিল খোঁজা হয় তার। এজন্য নামের আগে পেয়ে গেছেন 'দ্য ওয়াইল্ড থিং' বা 'বুনো'। যদিও শুরুতে এই উপাধিতে তার ছিল আপত্তি, কিন্তু পরে সেটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়েছেন, 'প্রথমে আমি বাধা দিয়েছিলাম। দেখা গেল এটা আরও বেশি হচ্ছে। শন টেইটের সঙ্গে তুলনা চলল।'

'এটা আমার আশেপাশে চলতে থাকে। আমার জন্য নিয়মিত ব্যাপার। এখন আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার জন্য এটা এখন চাঙ্গা হওয়ার মতো। আমি সেখানে গিয়ে বল করার জন্য মুখিয়ে আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

OTT platform services to be costly

Operators say the duty will increase the service price for customers

22m ago