অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা

‘ভাই হত্যার বিচার চাই’

নিহত অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউল। ছবি: সংগৃহীত

'আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। এটাকে হত্যা বলছি কারণ, ওই ট্রাকচালক অবৈধভাবে রাস্তার পাশে পার্কিং করেছিলেন। পার্ক করার সময় তিনি জরুরি বাতি জ্বালাননি। তিনি হাইওয়েতে ট্রাকটি দাঁড় করিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।'

আজ শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বলছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউলের ছোট ভাই ইয়াসিন হাওলাদার।

শরীয়তপুরে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালককে অজ্ঞাত করে পদ্মা সেতু জাজিরা দক্ষিণ থানায় গত শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে মামলা করেছেন ইয়াসিন।

গত মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার দক্ষিণ প্রান্তের ৪০০ মিটার দূরে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাককে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সচালক ও রোগীসহ ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হন।

শিবচর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলাটি রুজু হয়েছে। আমরা অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। সেখানে বাদী বলেছেন, গাড়িটি (ট্রাকটি) হাইওয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় গাড়ির পেছনে কোনো জরুরি বাতি জ্বলছিল না। পরে অ্যাম্বুলেন্সটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে না দেখতে পেলে ট্রাকের পেছনের দিকে ঢুকে গিয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'ট্রাকটি হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিল কি না, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ট্রাকচালক পলাতক রয়েছেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই এই মামলায় ট্রাকচালককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus on july charter 2025

Yunus rules out referendum over July Charter

Chief adviser insists party agreement key to polls; vows justice, reform ahead of election

24m ago