পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক ও বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন রণবীর: র‌্যাব

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে র‌্যাবের অভিযানে বিষয়ে ব্রিফ করেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে বন থেকে গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া'র সামরিক শাখার প্রধান রণবীর পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক ও বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ এবং আড়াই লাখ টাকার বেশি দেশীয় মুদ্রা উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

মঈন বলেন, 'সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে এ পর্যন্ত এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের আইনে আওতায় আনা হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর আমরা বান্দরবানে একটি অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে সামরিক শাখার দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি মানিক এবং শাওনসহ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে এই নব্য জঙ্গি সংগঠনের সামরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের জোগান, তারা কীভাবে সামরিক শাখায় লোক নিয়োগ দিচ্ছে সে সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য আমরা পাই।'

'গত ১১ জানুয়ারি আমরা আরেকটি অভিযান পরিচালনা করি। সম্প্রতি আমরা নিখোঁজ ৫৫ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলাম; যারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে তথাকথিত হিজরতের নামে এই জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখায় যোগ দিয়েছেন। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। ১১ জানুয়ারির অভিযানে আমরা ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হই,' বলেন তিনি।

মঈন আরও বলেন, 'আদালত ১৯ জানুয়ারি রিমান্ড মঞ্জুর করলে আমরা মানিকের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাই। আমাদের লক্ষ্য ছিল, সামরিক শাখার প্রধান মাশুকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, অস্ত্র সরবরাহ করেছেন এবং বোমা তৈরির প্রশিক্ষণও দিয়েছেন।'

'মানিকের কাছ থেকে আমরা বেশ কয়েকটি জায়গার তথ্য জানতে পারি। তার মধ্যে কুতুপালং-৭ নম্বর ক্যাম্প সম্পর্কে ধারণা পাই যে, সেখানে রণবীর ও তার সহযোগী আবুল বাশারের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবুল বাশার সামরিক শাখার অন্যতম সদস্য এবং তিনি বোমা বিশেষজ্ঞ। আজ মধ্যরাতে ৭ নম্বর ক্যাম্পের 'এ' ব্লক আমরা ঘিরে ফেলি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রণবীর ও বাশার স্থান পরিবর্তন করেন। ভোরে ক্যাম্পের পাশে বনাঞ্চল থেকে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই,' বলেন এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares 3 new days for nat’l observance

The interim government yesterday declared August 5 as “July Mass Uprising Day” to commemorate the student-led protests that toppled the Sheikh Hasina regime that day last year.

7h ago