জন্মদিনে জন্ম-মৃত্যু দুই ধরনের অনূভূতিই হয়: কামাল চৌধুরী

কামাল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

'আজ আমার জন্মদিন, আজই আমার ভাইয়ের মৃত্যু দিন। অর্থাৎ আমি আসলে যমজ, আমি বেঁচে থাকি, ভাইটি মারা যায়। আবার এই দিনে আমার শ্বশুরও দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। ফলে জন্মদিনে আমাকে দুই ধরনের অনূভূতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।'

আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে এসব বলেন সত্তরের দশকের কবি কামাল চৌধুরী। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ২৮ জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয়করা গ্রামে। বাবা আহমদ হোসেন চৌধুরী ও মা বেগম তাহেরা হোসেনের ৬ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

কামাল চৌধুরী বলেন, 'আমি সবসময় আমার জন্মদিনে যমজ ভাইয়ের কথা স্মরণ করি। যাকে আমি নিজেও দেখিনি। আমার কেন জানি মনে হয় আমরা দু'জনেই মাতৃগর্ভে ছিলাম। এমনও তো হতে পারতো সে বেঁচে থাকত আমি মৃত্যুবরণ করতে পারতাম।'

চিরায়ত এই ভাবনা তাকে ভাবিয়ে তোলে। কবিতায় তিনি জন্ম মৃত্যু জীবন, প্রেম শ্রম, প্রকৃতি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন অনন্যভাবে। সঙ্গে কবিতার রোমান্টিক উচ্চারণও পাঠকদের আন্দোলিত করে। শিশুসাহিত্যে তার রয়েছে অসাধারণ কিছু লেখা।

কামাল চৌধুরীর প্রথম বই 'মিছিলের সমান বয়সী', শেষ বই 'স্তব্ধতা যারা শিখে গেছে'। এই ছাড়া আছে  এই পথ এই কোলাহল, এসেছি নিজের ভোরে, এই মেঘ বিদ্যুতে ভরা, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, রোদ বৃষ্টি অন্ত্যমিল, হে মাটি পৃথিবীপুত্র, প্রেমের কবিতা, পান্থশালার ঘোড়া, নির্বাচিত কবিতা, কবিতাসংগ্রহ, শ্রেষ্ঠ কবিতা ইত্যাদি। তিনি রুদ্র পদক, সৌহার্দ্য সম্মাননা (পশ্চিমবঙ্গ), কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কার, সিটি-আনান্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার, দরিয়ানগর কবিতা সম্মাননা এবং ২০১২ সালে বাংলা কবিতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ২০২২ সালে  ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক অর্জন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago