পাকিস্তানে ১ লিটার পেট্রোল এখন ২৪৯.৮০ রুপি

পাকিস্তান, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন,
রয়টার্স ফাইল ফটো

পাকিস্তানে ডলারের বিপরীতে রুপির রেকর্ড দরপতনের পর জ্বালানির মূল্য বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। আজ রোববার দেশটিতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৫ রুপি বাড়ানো হয়েছে।

ফলে, পাকিস্তানে বর্তমানে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে ২৪৯.৮০ রুপি। যা আগে ছিল ২১৪.৮০ রুপি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ঈশাক দার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, সকাল ১১টা থেকে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৫ রুপি বাড়বে এবং কেরোসিন তেল ও লাইট ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮ রুপি বাড়বে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুপির রেকর্ড দরপতনের পর সরকার ৮০ রুপিরও বেশি দাম বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এমন গুজবের মধ্যে মানুষ পেট্রোল স্টেশনে ভিড় করতে শুরু করলে তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিভ্রান্তিকর এবং ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধের পরামর্শ দেয়।

দাম বাড়ানোয় পাকিস্তানে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাঁড়াল ২৪৯.৮০ রুপিতে। যা আগে ছিল ২১৪.৮০ রুপি। ডিজেলের দাম বেড়ে ২৬২.৮০ টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল ২২৭.৮০ টাকা। কেরোসিনের দাম বেড়ে হয়েছে ১৮৯.৮৩ টাকা, যা আগে ছিল ১৭১.৮৩ টাকা এবং লাইট ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১৮৭ টাকা, আগে ছিল ১৬৯ টাকা।

অর্থমন্ত্রী ঈশাক দার জানান, অস্থায়ী মজুত এবং পেট্রোলের ঘাটতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সরকারকে অবিলম্বে নতুন দাম কার্যকর করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জল্পনা-কল্পনার কারণে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৪ মাসে অক্টোবর থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একবারও দাম বাড়ানো হয়নি। এ সময়ে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ১৯ রুপি বা ২০ রুপি কমেছে। কেরোসিন তেল ও হালকা ডিজেলের দাম ২৯ রুপি ও ৩০ রুপি কমানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রুপির অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ন্যূনতম দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে পেট্রোলের ঘাটতির গুজব উড়িয়ে দেবে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এ সিদ্ধান্তকে অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন।

সেন্ট্রাল অরগানাইজেশন অব ট্রেডার্স অব পাকিস্তানের সভাপতি কাশিফ চৌধুরী পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৩৫ রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে বলেছেন 'দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে।'

তিনি সরকারকে অবিলম্বে মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago