নিজেদের মাঠে জিতে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে মাশরাফির সিলেট

জিতলেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে থেকে সবার আগে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত। এমন সমীকরণ সামনে রেখে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলতে নামল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিংয়ে তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানের ফিফটির পর বোলিংয়ে তোপ দাগলেন রুবেল হোসেন। তাতে সহজেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন দলটি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিতলেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে থেকে সবার আগে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত। এমন সমীকরণ সামনে রেখে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলতে নামল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাটিংয়ে তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসানের মারমুখী ফিফটির পর বোলিংয়ে তোপ দাগলেন রুবেল হোসেন। তাতে সহজেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন দলটি।

বিপিএলে সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৩১ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পায় তারা। জবাবে ১৪তম ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিল খুলনা। তবে শেষ পর্যন্ত পুরো ওভার খেলে তারা পৌঁছাতে পারে ৯ উইকেটে ১৬১ রান পর্যন্ত।

চলমান আসরের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা সিলেটের এটি ১০ ম্যাচে অষ্টম জয়। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে তারা নিশ্চিত করেছে প্লে-অফে খেলা। আট ম্যাচে ইয়াসির আলি চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন খুলনার এটি ষষ্ঠ হার। ৪ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটের হিসাবে তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

নিজেদের দলের খেলা হওয়ায় সিলেটের দর্শকদের উন্মাদনার কোনো কমতি ছিল না। মাশরাফিদের প্রতি ম্যাচেই কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারির দেখা মেলে। বিপিএলের সিলেট পর্বে এটিই ছিল স্ট্রাইকার্সের শেষ ম্যাচ। খুলনার বিপক্ষে জয়ের পর ভক্তদের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতিক্রিয়া জানান দলটির ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা। মাঠের চারিদিকে ঘুরে 'ল্যাপ অব অনার' দেন তারা।

সিলেটের হয়ে ব্যাট হাতে ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত এদিন সুবিধা করতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৪ রানের বড় জুটি গড়েন আরেক ওপেনার হৃদয় ও তিনে নামা জাকির। দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ৪৯ বলে ৯ চারে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা হৃদয়। বাঁহাতি জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫৩ রান। ২ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কা মারেন তিনি।

শেষদিকে সিলেটের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি যায় দুই বিদেশির কল্যাণে। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল ১১ বলে ২১ ও শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নিলেও খরুচে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক ডেয়াল। চার ওভারে এই স্পিনার দেন ৪০ রান।

লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার অ্যান্ডি ব্যালবার্নি ও তামিম ইকবাল সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। তাদেরকে বিদায় করেন রুবেল। এরপর শেই হোপের সঙ্গে ৫৪ ও আজম খানের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে সেখানে তিনি মূল ভূমিকায় ছিলেন না।১৩তম ওভার থেকে খেই হারাতে থাকে খুলনা। ২১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাসুম আহমেদ কেবল হারের ব্যবধানই কমান।

পাকিস্তানের আজম খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ১৭ বলে। সমান রান করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোপ খেলেন ২২ বলে। ২০ রান করে আউট হওয়ার আগে জয় খরচ করেন ২১ বল। সিলেটের হয়ে রুবেল ৪ উইকেট নেন ৩৭ রান দিয়ে। তার তৃতীয় শিকার ছিলেন ডেয়াল। এই উইকেট দিয়ে বিপিএলে উইকেটের সেঞ্চুরি পূরণ হয় তার। ২ উইকেট করে নেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ও রেজাউর রহমান রাজা।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments surpass Tk 100,000cr for first time

The government’s interest payments against foreign loans surged 24.5 percent in fiscal year 2023-24, exceeding the Tk 100,000 crore mark for the first time in history, thanks to higher borrowing costs for loans from both domestic and foreign sources.

13h ago