ঢাকাকে বিদায় করে শেষ চারে রংপুর

শেষ চারের আশা জিইয়ে রাখতে হলে জিততেই হতো ঢাকা ডমিনেটর্সকে। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পর্যাপ্ত পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেনি দলটি। সাদামাটা পুঁজিতেও অবশ্য দারুণ লড়াই করে বোলাররা। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি তারা। নুরুল হাসান সোহানের ফিফটিতে জয় তুলে শেষ চারের টিকেট কাটল রংপুর রাইডার্স। একই সঙ্গে ঢাকার বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে ঢাকা। জবাবে ৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে সোহানের দল।

তবে লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের সূচনাটা ভালো ছিল না। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তাকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মাদ মিঠুনের ক্যাচে পরিণত করেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ৯ রানে শেখ মেহেদী হাসানকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন শরিফুল।

এরপর আরেক ওপেনার রনি তালুকদারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সোহান। তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। তবে দলীয় ১০২ রানে এ দুই সেট ব্যাটারই ফিরে গেলে সম্ভাবনা বাড়ে ঢাকার। রনিকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাসির। পরের ওভারে ফিরে আরেক সেট ব্যাটার সোহানকে ফেরান শরিফুল।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর দুই পাকিস্তানি শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নাওয়াজও হতাশ করেন। তাতে রংপুরকে চেপে ধরে ঢাকা। তখনও জয় থেকে ২০ রান দূরে রংপুর। আর ১৯তম ওভারে বল হাতে নিয়ে টানা দুই বলে শামিম হোসেন ও রাকিবুল হাসানকে আউট করেন নাসির। দুই ব্যাটারকেই বোল্ড করে দেন তিনি। তাতে জয়ের সম্ভাবনা দারুণভাবেই উঁকি দিয়েছিল ঢাকার। কিন্তু আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও হারিস রউফ বাকি কাজ দৃঢ়তার সঙ্গে শেষ করেন।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। ৩৩ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ৩৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করেন রনি। শেষ দিকে ওমরজাই ও হারিস দুইজনের ব্যাট থেকে কার্যকরী ৭ রানের ইনিংস।

ঢাকার পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান নাসির। ১৮ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার শরিফুলের।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। দলীয় ১১ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারায় দলটি। মোহাম্মাদ মিঠুনের রানআউটে কাটা পড়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি। যথারীতি হতাশ করেন সৌম্য সরকার। ওমরজাইয়ের রাখা অফস্টাম্পের বেশ বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। পরের ওভারে ফিরে অধিনায়ক নাসির হোসেনকে বোল্ড করেন ওমরজাই।

এরপর আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে দলের হাল ধরেন আলেক্স ব্ল্যাক। ৩৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। ব্লাকের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। তাকে শামিম হোসেনের ক্যাচে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মামুনও। শেখ মেহেদী হাসানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। পারেননি মুক্তার আলীও। তবে সপ্তম উইকেটে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ২৮ রানের জুটি গড়ে একশর কোটা পার করেন আরিফুল হক।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল। ২৬ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া মামুন ২৩, ব্ল্যাক ১৮ ও আমির হামজা ১৫ রান করেন। রংপুরের পক্ষে ২২ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান ওমরজাই।

Comments

The Daily Star  | English

Students to resist AL event today

The student movement against discrimination will hold a mass gathering at Zero Point in the capital’s Gulistan today, demanding trial of the Awami League.

3h ago