কাতার বিশ্বকাপই ছন্দ হারানোর কারণ!

ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম জমজমাট বিশ্বকাপ হয়েছে এবার কাতারে। যেখানে ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে এই জমজমাট আসর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ফেদে ভালভার্দের। বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই ছন্দ হারিয়েছেন এ তারকা। অন্তত এমনটাই মনে করেন এ তরুণ।

একজন মিডফিল্ডার পরিচিত হলেও এ মৌসুমে তাকে উইঙ্গার হিসেবে খেলিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। শুরু থেকেই দারুণ সফলতা মিলে তার। রিয়ালের অনেক জয়ের নায়ক ছিলেন এ উরুগুইয়ান। কিন্তু মাঝে বিশ্বকাপ বিরতির পরই যেন সব বদলে গিয়েছে।

উরুগুয়ের হয়ে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে ২০টি ম্যাচ খেলেছিলেন ভালভার্দে। যেখানে তার গোল ৮টি। এছাড়া সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছিলেন ৪টি গোল। হলুদ কার্ড ছিল ১টি। সেখানে বিশ্বকাপ থেকে ফিরে ১১টি ম্যাচ খেলে এখনও দলে প্রত্যক্ষ কোনো অবদান রাখতে পারেননি। উল্টো এই সময়ে হলুদ কার্ড দেখেছেন ৩ বার।

সম্প্রতি নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএসের সঙ্গে কথা বলেছেন ভালভার্দে। সেখানেই তাকে প্রশ্ন করা হয়, কাতার বিশ্বকাপ তার ছন্দ হারানোর কারণ কি-না। উত্তরে এ তারকা বলেন, 'হ্যাঁ, কারণ আপনি একটি প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিলেন যে সবকিছু ঠিকঠাক হবে। যা সব শিশুর স্বপ্ন, লাখো মানুষের স্বপ্ন। দুঃখের বিষয় যে মনে হচ্ছে বিশ্বকাপের আগে আপনি যে সমস্ত কাজ করেছেন তার কোনো মূল্য নেই।'

বিশ্বকাপের পর তার পারফরম্যান্স যে আগের মতো নেই তা স্বীকার করে আরও বলেন, 'ফুটবলে সবসময় ভালো কিছু ঘটে না। এর জন্য আপনাকে উন্নতি করতে সহায়তা করে। বিশ্বকাপের আগে আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল এবং এর পরে আগের মতো নেই।'

তবে এ থেকে খুব দ্রুতই উতরে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন এ মিডফিল্ডার, 'ধাক্কা রয়েছে তবে চাবিকাঠি হল এই জিনিসগুলোর মুখোমুখি হওয়া। আমাকে অবশ্যই বিশ্বকাপের আগের সেই মনোভাব নিয়ে চলতে হবে। যারা আমাকে সাহায্য করবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং অধিনায়ক হওয়ার পথ অনুসরণ করতে হবে, যা আমি চাই। একটু একটু করে আমার পারফরম্যান্স আবার ভালো হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

10h ago