খুলনাকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল সিলেট

বোলারদের দাপটে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রইল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এরপর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন জাকির হাসান। তাকে দারুণ সহায়তা করলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সহজ জয়ই মিলেছে তাদের। একই সঙ্গে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হলো সিলেটের। 

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রান করে খুলনা। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

এ জয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হলো সিলেটের। ১২ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। তাদের স্পর্শ করার সম্ভাবনা রয়েছে কেবল কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স অথবা রংপুর রাইডার্সের। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ মুখোমুখি হবে এ দলদুটি। ১১ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রয়েছে খুলনা।

লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না সিলেটের। দলীয় ১০ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। তৌহিদ হৃদয়কে উইকেটরক্ষক শাই হোপের তালুবন্দি করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর নাজমুল হোসেন শান্তকে হোপে ক্যাচে পরিণত করেন নাহিদুল ইসলাম।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন জাকির হাসান। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৯০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। জাকিরকে বিদায় করে এ জুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। এরপর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে যান। এরপর বাকি কাজ গুলবাদিন নায়িবকে নিয়ে শেষ করেন রায়ান বার্ল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন জাকির। ৪৬ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৩৯ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ৩৫ বলে ৪টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান এ অভিজ্ঞ ব্যাটার।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে খুলনা। দলীয় ৮ রানে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। সপ্তম উইকেটে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে নাহিদুল ইসলামের গড়া ৩৬ রানের জুটি ছিল ইনিংসে সর্বোচ্চ।

মূলত স্থানীয় দুই পেসার তানজিব হাসান সাকিব ও রুবেল হোসেনের তোপে পড়ে খুলনা। তবে শুরুর ধাক্কাটা দেন ইমাদ ওয়াসিম। মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে পান দুটি উইকেট। সাকিব নেন তিনটি উইকেট। ২২ রানের খরচায় শিকার করে শাই হোপ, মাহমুদুল হাসান জয় ও সাইফউদ্দিনকে। ২৪ রানের বিনিময়ে অ্যান্ডি বালবির্নি ও সাব্বির রহমানকে তুলে নেন রুবেল।

খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন জয়। ৪১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন। মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২২ রান করেন নাহিদুল ইসলাম। ১৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ১২ রান করেন ইয়াসির আলী। এই তিন ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন।

বোলার হিসেবে পরিচিত হলেও এদিন বল করতে আসেননি অধিনায়ক মাশরাফি। এমনকি ব্যাট হাতেও নামতে হয়নি তাকে। এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে এক ওভার বল করেছিলেন সিলেট অধিনায়ক।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

7h ago