হত্যার পর গণপিটুনির ভয়ে ৯৯৯ এ ফোন
রাজধানীর উত্তরখানে এক নারীকে শিলপাটার আঘাতে হত্যার সময় স্থানীয়রা দেখে ফেলে তাকে। সে সময় উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিতে পারে, এ ভয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন তিনি।
ফোন পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এবং নারীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হযরত আলীর (৪৭) বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরখানের পূর্ব মাস্টারপাড়ায় হযরতের টিনশেড বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে।
ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, 'গ্রেপ্তার হযরত এক নারীর মাথায় শিলপাটা দিয়ে আঘাত করলে তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বাড়িটি ঘিরে ফেলে।'
স্থানীয় উত্তেজিত জনতার গণপিটুনির ভয়ে হযরত তখন ভেতর থেকে ঘরের তালা বন্ধ করে দেন এবং সহায়তার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করেন বলে ওসি জানান।
তিনি বলেন, 'ফোন করে হযরত বলছিল যে আমি এক নারীকে হত্যা করেছি। স্থানীয়রা আমার বাড়ি ঘেরাও করেছে, আমাকে মেরে ফেলবে। দয়া করে আমাকে বাঁচান।'
পুলিশ জানায়, ওই নারীকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল হযরত। রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে হযরত তাকে হত্যা করেন।
নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বামী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত আমার স্ত্রী বাসায় না ফেরায় চিন্তায় ছিলাম। পরে পুলিশ জানায় যে তাকে হযরত খুন করেছে।'
Comments