ব্রাজিল হারতেই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবতে শুরু করে আর্জেন্টিনা

কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে একই দিনে মাঠে নামে ব্রাজিল। তবে মাঝে পার্থক্য ছিল চার ঘণ্টার। ব্রাজিল ম্যাচ চলাকালীন সময়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ওয়ার্ম আপ করতে নামার কথা ছিল আর্জেন্টাইনদের। কিন্তু ব্রাজিলের ম্যাচ দেখার জন্য বিরতি দেয় দলটি। আর ব্রাজিল হারতেই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন মনে করে উদযাপন করতে থাকেন বলে জানান আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজ।

ফাইনালের শুরুটা দারুণ করে আর্জেন্টিনা। তবে শেষ দিকে দুর্দান্ত দক্ষতায় ম্যাচে ফিরে আসে ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ফলাফল নির্ধারিত হয় টাই-ব্রেকারে। যেখানে একটু উনিশ-বিশ হলেই শিরোপা থাকতো ফরাসিদের দখলেই। অথচ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবতে শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা।

মূলত ব্রাজিল হারতেই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন ভাবতে শুরু করে আর্জেন্টিনা। কারণ কাগজে কলমে কাতার বিশ্বকাপের ফেভারিট দল ছিল ব্রাজিলই। মাঠেও তার প্রতিফলন দেখিয়েছিল তারা।  সেমিতে উঠলে তাদের বিপক্ষে হয়তো ভুগতে হতো আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু কিছুটা অবাক করে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে বসে সেলেসাওরা।

অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কঠিন প্রতিরোধে পড়লেও শেষ পর্যন্ত জয় পায় আর্জেন্টিনা। তবে সেমি-ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে সহজেই হারায় লিওনেল মেসিরা। ৩-০ গোলের জয়ে পায় ফাইনালের টিকিট। এরপর ফাইনালে ফ্রান্সকে টাই-ব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আলবিসেলেস্তেরা।

কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে একই দিনে মাঠে নামে ব্রাজিল। তবে মাঝে পার্থক্য ছিল চার ঘণ্টার। ব্রাজিল ম্যাচ চলাকালীন সময়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ওয়ার্ম আপ করতে নামার কথা ছিল আর্জেন্টাইনদের। কিন্তু ব্রাজিলের ম্যাচ দেখার জন্য বিরতি দেয় দলটি। আর ব্রাজিল হারতেই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন মনে করে উদযাপন করতে থাকেন বলে জানান আলেহান্দ্রো পাপু গোমেজ।  

'আমাদের ওয়ার্ম আপ পরিবর্তন করতে হয়েছিল এবং আমরা সবাই (ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে) ব্রাজিল ম্যাচের পেনাল্টি দেখছিলাম। আমরা তখন বলছিলাম: "ব্রাজিল হেরে গেলে (বিশ্বকাপ) আমাদের।" ক্রোয়েশিয়া যখন (সেমি-ফাইনালে) উঠে যায় তখন আমরা উদযাপন করতে শুরু করি যেন আমরা জিতে গেছি,' আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ডিস্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন পাপু।

শুধু ব্রাজিল হারার পরই নয়, নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা শুরু থেকেই ছিল আর্জেন্টাইনদের। কাতারে পা রাখার পরই অনুভূতিটা পেতে শুরু করেন বলে জানান এ মিডফিল্ডার, 'যখন আমরা কাতারে পা রেখেছিলাম, তখন থেকেই আমরা জানতাম যে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছি। আমি জানি না কেন, তবে আমরা এটি সম্পর্কে খুব স্পষ্ট ছিলাম।'

কাতারে ব্রাজিল ফেভারিট হিসেবে গেলেও আর্জেন্টিনার পক্ষেও বাজী দর চড়া ছিল। কারণ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত ছিল দলটি। এ সময়ে মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকার পর ফিনালিশিমাও জিতেছিল তারা।

Comments