চট্টগ্রামকে হারিয়ে সেরা দুইয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল রংপুর

এ জয়ে সেরা দুইয়ে থাকার আশা ভালোভাবেই টিকে রইল রংপুরের। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের। উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। আগামী শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। সে ম্যাচে জয়ী দল খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। একই সঙ্গে এলিমিনেটর রাউন্ড নিশ্চিত হলো ফরচুন বরিশালের।

শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন লড়াইটা সেরা দুইয়ের মধ্যে থাকার। আর তা নিশ্চিত করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্পই ছিল না রংপুর রাইডার্সের। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে অসাধারণ জয় পেয়েছে দলটি। তাতে দারুণভাবেই টিকে রইল কোয়ালিফায়ারের আশা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। জবাবে ২৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে নুরুল হাসান সোহানের দল।

এ জয়ে সেরা দুইয়ে থাকার আশা ভালোভাবেই টিকে রইল রংপুরের। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের। উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। আগামী শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। সে ম্যাচে জয়ী দল খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। একই সঙ্গে এলিমিনেটর রাউন্ড নিশ্চিত হলো ফরচুন বরিশালের। 

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করে রংপুর। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৮ রান। এ জুটি ভাঙেন নিহাদুজ্জামান। নাঈমকে বোল্ড করে দেন তিনি। স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ হতে আরেক ওপেনার রনিকে কার্টিস ক্যাম্ফারের ক্যাচে পরিণত করেন জিয়া।

এরপর উইকেটে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে নিহাদুজ্জামানের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন এ আফগানী। এরপর বাকি কাজ টম কোহলার-ক্যাডমোরকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রানের জুটি গড়ে শেষ করেন সোহান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ। ৩০ বলের ইনিংসটি ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান এ ব্যাটার। ১৫ বলে ১টী চার ও ২টি ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলার-ক্যাডমোর। এছাড়া রনি ২৮ ও নাঈম ২০ রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান নিহাদুজ্জামান।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তৌফিক খানের ৩৮ রানের জুটিটি ছিল ইনিংসে সর্বোচ্চ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন জিয়া। ২৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ রান করেন তৌফিক। মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৭ রান। রংপুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ ও রাকিবুল হাসান।  

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago