অখ্যাত হাবিবুরের তাণ্ডবে বরিশালকে হারাল খুলনা

মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে লড়াইয়ে থাকলেও শেষ দিকে এসে কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল ফরচুন বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। এরপর অখ্যাত তরুণ হাবিবুর রহমান সোহান বদলে দিলেন সব। তার দানবীয় ব্যাটিংয়ে ছয় ম্যাচ হারার পর জয় দিয়েই আসর শেষ করল খুলনা টাইগার্স।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে বরিশাল। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় খুলনা।

নকআউট পর্বে ওঠার আশা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল খুলনার। শেষ রাঙিয়ে রাখাই মূল লক্ষ্য ছিল খুলনা টাইগার্সের। আর সেটা করতে পেরেছে দলটি। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল শিরোপা প্রত্যাশী বরিশাল।

মূলত হাবিবুরের ব্যাটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় খুলনা। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯ বলে খেলেন হার না মানা ৩০ রানের ইনিংস। খেলেছেন ৫টি বাউন্ডারি, যার মধ্যে ৩টি ছক্কা। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে শেষ ১৬ বলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। 

অথচ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। দলীয় ১৩ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ওপেনিংয়ে নেমে হতাশ করেন সাব্বির রহমান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। তবে অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নেন আরেক ওপেনার অ্যান্ডি বিলবার্নে। হোপকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। এরপর ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন জয়। তাতেই জয়ের ভিত পায় দলটি। আর সেই ভিতে ইমারত গড়েন হাবিবুর।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জয়। ৪৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৭ রান করেন বিলবার্নে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল। তবে পঞ্চম উইকেটে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের সঙ্গে ইব্রাহীম জাদরানের ৭০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত বড় পুঁজি মিলে দলটির।

এদিন বরিশালের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৯ রানে নাসুম আহমেদের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যাচে পরিণত হয়ে মাঠে ছাড়েন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেমেই আগ্রাসী ঢঙ্গে ব্যাট চালাতে থাকেন। নহিদুলকে টানা তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন। তবে পরের ওভারে হাসান মুরাদকেও মারতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েন নাসুম আহমেদের হাতে।

বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন প্রিটোরিয়াস। হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে বোল্ড হয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে। ২৯ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। এছাড়া এনামুল হক বিজয় ২৮, সাকিব, ২২ ও ইব্রাহীম ২১ রান করেন।

খুলনার পক্ষে ২০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান সাইফউদ্দিন। এছাড়া নাসুম ও মুরাদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

7h ago