সাকিবকে দায় দিয়ে বরিশালের পেজ থেকে পোস্ট

১০০ বেশি রান করা ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট সাকিব আল হাসানের। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। কিন্তু সেই ব্যাটারই কি-না এলিমিনেটর রাউন্ডের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিংয়েই নামলেন না। তার প্রভাব পড়ল দলের পুঁজিতে। শেষ পর্যন্ত আসর থেকে বিদায়ই নিল দলটি। সাকিবের এমন সিদ্ধান্তে অবাক ফরচুন বরিশাল। এমনকি তার দায়বদ্ধতা নিতে প্রশ্ন তুলেছে তারা। পরে তা সরিয়ে নিয়ে দলের গণমাধ্যম বিভাগ দেয় ব্যাখ্যা। 

রোববার মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৪ উইকেটে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান করে তারা। অথচ যেভাবে শুরু করেছিল দলটি তাতে দুইশ কিংবা তার কাছাকাছি রান হতেই পারতো। রানের গতি বাড়াতে পারেননি শেষ দিকের ব্যাটাররা। তবে সাকিব নামলে পরিস্থিতি ভিন্নও হতে পারতো। কারণ আসরে ১৩ ম্যাচে ১১ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৪১.৬৬ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭৫ রান করেছেন সাকিব। স্ট্রাইক রেট ১৭৪.৭১। কমপক্ষে ১০০ রানের বেশি করা ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা।

এদিন নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ক্লাব কর্তৃপক্ষ লিখেছে, 'সাকিবের কাছে একটি প্রশ্ন। ১৫.১ ওভারের খেলা শেষে বরিশালের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ১২৬। সেই মুহূর্তে ফর্মে থাকা বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ে না নেমে পাঠালেন দলে নতুন আসা রাজাপাকশেকে, যিনি কিনা এর আগে কখনও বিপিএলে খেলেননি(আসলে আগে একবার খেলেছেন)।  '

'আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকেও ক্রিজে পাঠানোর তাগিদ বোধ করলেন না আপনি। আপনার দলের বোলাররা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে ম্যাচ জেতানোর, কিন্তু এই হারের পেছনে মূল কারণ আপনার অকার্যকর ব্যাটিং লাইনআপ রোটেশন। সাকিবের কাছে একটি প্রশ্ন- এই হারের দায় আপনি এড়াতে পারেন?' যোগ করে আরও লিখেছে দলটি।

যদিও পোস্টটি কিছুক্ষণ পরই ডিলেট করে দেওয়া হয়। পরে এক বিবৃতিতে বরিশাল জানায়, ভুলবশত পোস্টটি দেওয়া হয়েছিল। বিবৃতিতে বরিশালের মিডিয়া ম্যানেজার সেকান্দার আলী বলেন, 'ফরচুন বরিশাল দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একজন এডমিন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নেতিবাচক পোস্ট দিয়েছিল, যেটা সত্যিই হতাশাজনক। ভুলবশত পোস্টটি অফিসিয়াল পেজে চলে গেছে বলে জানান তিনি। পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছে এবং ছেলেটিকে এডমিন থেকে রিমুভ করার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে।'

এর আগে এ সিদ্ধান্তটি অধিনায়কের ছিল জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, 'অধিনায়কের কল তো ছিলই। নট দ্যাট আমাদের সঙ্গে আলাপ করেনি। ও নিজে থেকে কমফোরটেবল ফিল করছিল যে ওরা ভালো খেলোয়াড়। ওরা যদি যায় দুই–এক ওভার এক্সেলারেট করে দিয়ে আসতে পারে… সেরকম একটা অবস্থায় আমরা ছিলামও। ১-২ উইকেট হারালেও অসুবিধা হতো না আমাদের। কিন্তু সেই সুযোগটা সেভাবে কাজে লাগাতে পারিনি আমরা।'

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

6h ago