সিলেট দুইশো রান না করায় অবাক চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার কোচ

Mohammad Salauddin & Imrul Kayes
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগে ব্যাট করে স্কোর-বোর্ডে ১৭৫ রান জড়ো করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফাইনালের মতো মঞ্চে এই রানকে মামুলি বলার উপায় নেই। তবু চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলছেন, পরিস্থিতির তুলনায় আসলে খারাপ ব্যাটিং করেছে সিলেট। তারা অন্তত দুইশো রান না করায় অবাক তিনি।

বৃহস্পতিবার বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে কিছুটা গড়বড় করতে দেখা যায় কুমিল্লাকে। টস জিতে ফিল্ডিংয়ে গিয়ে ওভার থ্রো, মিস ফিল্ডিং, ক্যাচ ফেলার মহড়ায় নামে তারা। বাজে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বেরিয়েছে অন্তত ২০ রান। ক্যাচ ফসকেছে ছয়টি। যার মধ্যে ত্রিশের ঘরে জীবন পেয়ে শান্ত করেছেন ৬৪।

এতগুলো সুযোগ হাতছাড়া করেও শেষ পর্যন্ত হতাশায় পুড়তে হয়নি কুমিল্লাকে। জনসন চার্লস ও লিটন দাসের ফিফটিতে ১৭৬ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৪ বল আগেই।

টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো বিপিএল ট্রফি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস, দলের কর্ণধার নাফিসা কামাল আর কোচ সালাউদ্দিন।

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিপিএলের সফলতম কোচ বলেন, শুরুতে বাজে ফিল্ডিং দেখে মনে ভয় ধরে গিয়েছিল তাদের, পরে প্রতিপক্ষ সেটা কাজে লাগাতে না পারায় অবাক হয়েছেন তিনি,   'আজকে প্রথমে যেভাবে আমরা ফিল্ডিং করেছি মনে হয়েছে দিনটা হয়ত আমাদের না, আজ আর হবে না। খুবই বাজে ফিল্ডিং করেছি। কিন্তু স্কোর-বোর্ডে যখন ১৭০ এর ঘরে লক্ষ্য (১৭৬) ছিল তখন মনে হয়েছে ম্যাচটা আমরা জিতব, কারণ উইকেট অনেক ভালো ছিল। আমার মনে হয়েছে তারা ব্যাটিং খারাপ করেছে। তাদের আসলে দুইশো রান করার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। আমরা যেভাবে মিসফিল্ডিং করছিলাম তাতে তাদের দুশো রান না করায় অবাক হয়েছি।'

'যখন ১৮০ রানের ভেতরে ছিল তখন মনে হয়েছে এখন আমরা জিততে পারব। তাদের যে স্ট্রেন্থ সেটা আমাদের সঙ্গে স্যুট করে। আমরা জানি তাদের পেস বোলার আসবে। তাদের চারটা পেসার ছিল, একটা মাত্র স্পিনার। আমরা ম্যাচটা বের করে নেব।' 

এক পর্যায়ে ৪ ওভারে ৫২ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। রুবেল হোসেনের করা ১৭তম ওভারে ২৩ রান নিয়ে এসে ম্যাচ সহজ বানিয়ে দেন চার্লস। তবে রুবেলের ওই ওভারের আগেও জেতা নিয়ে কোন সংশয় ছিল না কুমিল্লার, এমনটাই জানালেন সালাউদ্দিন,  'না কঠিন না (৪ ওভারে ৫২)। বিশেষ করে আমরা জানি জনসন চার্লস আছে, মঈন আলি আছে। আন্দ্রে রাসেল আছে। তাদের বোলিং অপশনও শেষ হয়ে গেছিল। এখানে তাদের আসলে কিছু করার নেই। একটা মাত্র ওভার, উডের একটা ওভার ছিল। ওই ওভার থেকে যদি আমরা ৬-৭ বের করতে পারি। বাকি ওভারগুলোতে আমরা ৫০ রান করে ফেলতে পারব। এই বিশ্বাস আমাদের ছিল।' 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago