তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প

ক্ষতিগ্রস্তদের ৩ মাসের 'সহজ' ভিসা ও আরও ৫ কোটি ইউরো দেবে জার্মানি

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ তুরস্কের পাজারচিক অঞ্চলে সফর করছেন। ছবি: রয়টার্স
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ তুরস্কের পাজারচিক অঞ্চলে সফর করছেন। ছবি: রয়টার্স

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জার্মানি আরও ৫ কোটি ইউরো (৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার) সহায়তা দেওয়ার অঙ্গিকার করেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি আজ বুধবার জার্মানির ২ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক মঙ্গলবার বলেন, জার্মানি 'এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে চায়, যে আমরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে এই ঘটনাকে (ভূমিকম্প) মহাদুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছি এবং আমরা দুর্গত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করি'।

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ তুরস্কের পাজারচিক অঞ্চলে সফর করছেন।

নতুন ত্রাণ সহায়তার ৩ কোটি ৩০ লাখ তুরস্কে এবং ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো উত্তর সিরিয়ার কাছে দেওয়া হবে। ফলে সব মিলিয়ে ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য জার্মান সহায়তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১০ কোটি ৮০ লাখ ইউরো।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানলে ২ দেশ মিলিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ মারা যান।

ভূমিকম্পের পর ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, এখনও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর গতিবেগ প্রত্যাশার চেয়ে ধীর। ইতোমধ্যে সিরিয়ার জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধে চরম দুর্দশায় আছেন। 

২ মন্ত্রী নিশ্চিত করেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রভাবিত জনগোষ্ঠী জার্মানিতে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে যেতে চাইলে ৩ মাসের সহজ ভিসা পাবেন।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়ায় ৯৬টি ভিসা দেওয়া হয়েছে।

জার্মানিতে তুরস্কের বংশোদ্ভূত প্রায় ২৯ লাখ মানুষ বসবাস করেন। সিরিয়া থেকে আগত মানুষদের সম্প্রদায়ও বেশ বড়—সিরিয়া থেকে আগত প্রায় ৯ লাখ ২৪ হাজার মানুষ জার্মানিতে থাকেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

57m ago