ফিফটি হাঁকানোর পর শান্তর বিদায়, চাপে বাংলাদেশ

Najmul Hossain Shanto
ফিফটির পর শান্ত। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুরুটা পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল, কিন্তু ইনিংস টানতে পারেননি। লিটন দাস ফেরেন থিতু হওয়ার আগেই। দুই ওপেনারকে হারানোর পর ইনিংস টেনে নেওয়ার কাজ চেষ্টা চালান নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম। মুশফিক ডানা মেলতে না পারলেও শান্ত করেন ফিফটি। তার বিদায়ের পর খেই হারাল বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ১৫ ওভার শেষে স্বাগতিকদের রান ছিল ২ উইকেটে ৭৫। ৪০ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭৫। ৮২ বলে ৬ চারে ৫৮ রান করে করে আউট হন শান্ত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৬তম ম্যাচে তিনি পান প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা। 

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে ভালো শুরু পান তামিম। তবে আরেক পাশে লিটন দাস ছিলেন গুটিয়ে। জোফরা আর্চারের কিছু আলগা বল কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান আনছিলেন তামিম। প্রথম ৮ বল কোনো রান না নেওয়া লিটন রানের খাতা খোলার পরই ক্রিস ওকসের বলে পুল করে মেরেছিলেন ছক্কা। কিন্তু ওকসই তার হন্তারক। হালকা ভেতরে ঢোকা বল লাইন মিস পায়ে লাগান। এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেও লাভ হয়নি তার। 

Tamim Iqbal
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তামিম থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। তার উপর ছিল বড় ভরসা। কিন্তু মার্ক উড বল হাতে নিয়েই ভড়কে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। উডের বাড়তি গতি সামাল দিতে না পেরে স্টাম্প খোয়ান ৩২ বলে ২৩ রান করে। 

তিনে নেমে দ্রুতই থিতু হয়ে যান শান্ত। বাউন্ডারি বের করে নিয়মিত। তার সঙ্গে মিলে জুটি পেয়েছিলেন মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৪৪ রানের জুটির পর থামতে হয় মুশফিককে। ৩৪ বলে ১৭ করা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার আদিল রশিদের লেগ স্পিন  স্লগ সুইপের চেষ্টায় উঠান সহজ ক্যাচ। সাকিব আল হাসান এসে টিকতে পারেননি। মঈন আলির অফ স্পিনে সুইপ করতে গিয়ে খোয়ান স্টাম্প।

১০৬ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর জুটি বাঁধেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। তারা যোগ করেন ৫৩ রান। তবে লেগে যায় ৮০ বল। বিশেষ করে, শান্ত হয়ে পড়েন খোলসে বন্দি। ৬৭ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর রশিদের গুগলি পুল করায় চেষ্টায় থামেন তিনি। শর্ট মিডউইকেটে তার ক্যাচ নেন জেসন রয়।

দলের খাতায় আর ১৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন। এতে শুরুর ভিত কাজে লাগানো নিয়ে জোর শঙ্কায় বাংলাদেশ। মিলছে সাদামাটা সংগ্রহে আটকে যাওয়ার আভাস।

উডের বলে ইংলিশ দলনেতা বাটলারের তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লাহ। ৪৮ বল খেলে তিনি করেন ৩১ রান। আফিফকে দ্রুত ফিরিয়ে ওয়ানডে অভিষেকে উইকেটের স্বাদ নেন উইল জ্যাকস।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

5h ago