৫ বছরে ২-৩ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি সম্ভব: সালমান এফ রহমান
দেশের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির ভালো সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে কমপক্ষে ২-৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনে 'পলিসি ডায়লগ অন রোড ম্যাপ স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়নে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। প্রযুক্তিমনষ্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার দিকে এগিয়ে না গেলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে।
তবে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়নে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, 'যেসব দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হয়েছে, তাদের অনেকেই যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় মিডল ইনকাম ট্র্যাপে পড়েছে। এটা একটা ভয়ানক ফাঁদ। ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাস্টারপ্ল্যান কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।'
তার মতে, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দক্ষ কর্মী তৈরি করা। তিনি বলেন, 'সেখানে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। একাডেমি, ইন্ডাস্ট্রি ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করতে চাই। হায়ার স্কিল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুল থেকে কোডিং শেখানো বা কী কাজ আমরা করব সেটা নিয়ে সার্বিক একটা আলোচনা করেছি।'
দেশে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, 'বেশকিছু কোম্পানি এটা নিয়ে এখন কাজ করছে। সেখানে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে রোডম্যাপ করা হয়েছে। গ্লোবালি এটা ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমরা সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে কমপক্ষে ২-৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারব।'
'ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন চলে এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সারাবিশ্বে যেসব নতুন প্রযুক্তি আসছে, তা ধারণ করতে পারলে কিংবা ব্যবহার করতে পারলে মিডল ইনকাম ট্র্যাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব,' যোগ করেন তিনি।
এছাড়া, স্মার্ট ইকোনমি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কেমন বাজেট সাপোর্ট দরকার, তা নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে তাগিদ দেন তিনি। এক্ষেত্রে টেলিকম বিভাগকেও সাথে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'আমাদের এখন যে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ই-সেবা, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদির মৌলিক সফট অবকাঠামো হয়ে গেছে। এর ভিত্তিতে একটি সার্ভিস ইকো-সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। এটিকে ভার্টিক্যালি আমরা আরও ওপরে উঠাতে পারি। কেননা আমাদের মডেলগুলো সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। ফলে আমরা অবশ্যই ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারব।'
Comments