তবুও মিরপুরের উইকেটে খেলে তৃপ্ত বাটলার!

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই সিরিজ হারের রেকর্ড ছিল না ইংল্যান্ডের। সেখানে হেরে গেলেন টি-টোয়েন্টিতেই, যে সংস্করণে গত বছরই বিশ্বকাপ জিতেছে দলটি। অন্যদিকে এই সংস্করণে বেশ বাজে রেকর্ড টাইগারদের। এমন হারের পরও তৃপ্ত ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে ইংল্যান্ড। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে হেরেছিল ইংলিশরা।

চট্টগ্রামের উইকেট যেমন তেমন মিরপুরে এদিন চিরায়ত মন্থর ও টার্নিং উইকেটে খেলা হয়েছে। যেখানে শুরুটা ভালো করলেও এক পর্যায়ে এসে ভুগতে হয় ইংলিশদের। বিশেষকরে মেহেদী হাসান মিরাজ যখন বোলিংয়ে আসেন। এ স্পিনার একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাও মাত্র ১২ রান খরচ করে। দারুণ বোলিং করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।

বাংলাদেশের উইকেট প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষ বাটলার বলেন, 'সত্যি বলতে কি, আমি বিভিন্ন ধরণের উইকেটে খেলতে পছন্দ করি। আপনি যদি নিখুঁত একটি পিচের কথা চিন্তা করেন এবং সারা বিশ্বে অন্যান্য উইকেটের সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে এটা দেখতে বেশ বিরক্তিকর হবে।'

সাম্প্রতিক সময়ে পিএসএল উচ্চ রানের লড়াইয়ের উদাহরণ টেনে বলেন, 'আমার মনে হয় পিএসএলে ম্যাচগুলো এত বেশি স্কোরের খেলা তা দেখতে আকর্ষণীয়। তারউপর, তারা মাত্র সাত বা আট রানে জিতছে। কিন্তু এখানে লো স্কোরিং ম্যাচ, যা ঠিক যেমন উত্তেজনাপূর্ণ এবং কাছাকাছি একটি লড়াই। তাই, একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে এবং সারা বিশ্বে ঘুরে, আমি বিভিন্ন উইকেটে খেলতে পছন্দ করি এবং আমি মনে করি এটাই খেলাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে।'

'উদাহরণস্বরূপ, পার্থে খেলার থেকে এখানে খেলা কতটা ভিন্ন হবে (তা বোঝা যায়)। তাই, আমি মনে করি না টি-টোয়েন্টির জন্য কোনো নির্দিষ্ট নিখুঁত উইকেট রয়েছে। আমার মতে সেরা খেলোয়াড়রা সব কন্ডিশনে এবং সব সারফেসে পারফর্ম করতে পারে। এই খেলায় আমি এটাই দেখতে পছন্দ করি,' যোগ করেন ইংলিশ অধিনায়ক।

আর বাংলাদেশে এমন উইকেট প্রত্যাশিত ছিল বলেই জানান বাটলার, 'আমরা সম্ভবত এমন উইকেটেই খেলার প্রত্যাশা করেছি। আমরা এখানে দুটি ওডিআই ম্যাচ খেলেছি। সেই ম্যাচগুলোর মতোই ছিল। তোমাকে মানিয়ে নিতে হবে এবং ভালো খেলতে হবে। তবে খুব পিছিয়ে ছিলাম না। এই ধরনের ম্যাচে ১০ বা ১৫ রান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স দুর্দান্ত ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশি উইকেট নিতে পারিনি। অন্য একদিন, হয়তো মাঝের ওভারগুলিতে আরও কয়েকটি উইকেট তুলে নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago