৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি

রয়টার্স ফাইল ফটো

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।

গতকাল রোববার এই চুক্তি সই হয় বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গতকাল দুপুর ৩টায় শেরে-ই-বাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব ইকোনমি অ্যান্ড ফাইন্যান্সের অধীন ইকোনমিক ডেভেলমপেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের মধ্যে লেটার অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এলওইউ) ও কো-অপারেশন অ্যারেঞ্জমেন্ট (সি/এ) সই হয়।

কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০২০ থেকে ২০২৭ মেয়াদে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নমনীয় ঋণ সহায়তার বিষয়ে এলওইউ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং কোরিয়া সরকারের পক্ষে মিনিস্ট্রি অব ইকোনমি অ্যান্ড ফাইন্যান্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী সিওং-উক কিম সই করেন। আর সি/এ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া, জেইসি ও এফঅ্যান্ডএফ) মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক তাই-সো কিম সই করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। ইতোমধ্যে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় ৬১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মোট ১৬টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৬১৬ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৭টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। কোরিয়া সরকার এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন, যা কোরিয়া সরকারের উন্নয়ন অংশীদার দেশসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের মধ্যে সই হওয়া এলওইউ ও সি/এর আওতায় ইডিপিএফের মাধ্যমে পাওয়া ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নমনীয় ঋণ সহায়তা আগামী ৫ বছর (২০২৩-২০২৭) মেয়াদে বিভিন্ন বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে।

মিনিস্ট্রি অব ইকোনমি অ্যান্ড ফাইন্যান্সের অধীন ইডিপিএফের সঙ্গে সই করা এলওইউ ও সি/এর আওতায় পাওয়া প্রতিটি প্রকল্পের ঋণ চুক্তির বাৎসরিক সুদের হারের পরিমাণ ১ শতাংশ (নমনীয় ঋণ)। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৭ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর এবং ম্যানেজমেন্ট ফি দশমিক ৪ শতাংশ। ইডিপিএফ ঋণের আওতায় প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

'Most of them had lost parts of their skulls'

167 admitted to National Institute of Neurosciences & Hospital during July uprising, doctor tells ICT-1

10m ago