সিরিজের আগে ম্যাচ জেতার কথাই ভাবেননি সাকিব

যে সংস্করণে সবচেয়ে শক্তিশালী বাংলাদেশ, সেই ওয়ানডে সিরিজে হেরে শুরু। সেখানে বরাবরই সংগ্রাম করতে থাকা টি-টোয়েন্টি সিরিজে কি-না ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল টাইগাররা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এইতো গত বছরের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এ সংস্করণে বরাবরই শক্তিশালী তারা। সেই দলটিকে কি-না এবার হোয়াইটওয়াশ করে ছেড়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগে এমনটা কি কেউ ভাবতে পেরেছিল? খোদ টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো হোয়াইটওয়াশ দূরে থাক ম্যাচ জিতবেন এমনটাও চিন্তা করেননি!

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। তবে মাঝের অংশটায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণটাই ছিল ইংলিশদের দখলে। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করলেও শেষটা ভালো হয়নি। ফলে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েও মাঝারী পুঁজিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় সফরকারীদের দারুণ শুরু। ১ উইকেট হারিয়েই ১০০ রান তুলে ফেলেছিল তারা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অসাধারণ এক জয় পায় টাইগাররা।

এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই দারুণ খুশি অধিনায়ক সাকিব। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তৃপ্তির কোথাও জানান তিনি। তবে সিরিজ শুরুর আগে হোয়াইটওয়াশ তো দূরের কথা একটি ম্যাচ জিতবেন সে ভাবনাও ছিল না তাদের। কেবল নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে চেয়েছিলেন তারা।

সাকিবের ভাষায়, 'নাহ। ওভাবে ছিল না। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগে কেউ চিন্তাও করিনি আমাদের ম্যাচ জিততে হবে বা এমন কিছু। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি। তিন ম্যাচেই আমরা চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে যার যার জায়গা থেকে অবদান রাখা বোলিংয়েও। ফিল্ডিংটা আমাদের তিনটা ম্যাচেই আমার মনে হয় অসাধারণ ফিল্ডিং করেছে। যেটা আমাদের বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে যেখানে ২-৪-১০-১৫-২০ ডিফারেন্স মেক করে, ওই জায়গাতে অনেক বড় টিক মার্ক দিয়েছি।'

দেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল শেষ হতেই এবার বাংলাদেশ সফরে আসে ইংল্যান্ড। শুরুতে ওয়ানডে সিরিজ হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হতে খুব বেশি দেরি হয়নি। তাই এ সংস্করণের খেলার ছন্দেই ছিলেন বলে মনে করেন সাকিব। আর এটা তাদের দারুণভাবে সাহায্য করেছে বলেও দাবি করেন অধিনায়ক।

'এখানে যারা খেলছে, বিশেষত টি-টোয়েন্টি সিরিজে; প্রতিটি খেলোয়াড় বিপিএলে পারফর্ম করেছে। ওই পারফরম্যান্সটা...খুব বেশি গ্যাপ যায়নি, সেটা প্রভাব রেখেছে। এখানে যারা পাঁচ-ছয়জন ব্যাট করছে, তারা বিপিএলেও টপ রান স্কোরার। যারা সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া, তারাও এখানে বল করেছে। ওই আত্মবিশ্বাস আসলে থাকে। আর যেহেতু খুব বেশি গ্যাপ ছিল না। টানা খেলার ভেতরে থাকা আমাদের সাহায্য করেছে,' বলেন সাকিব।

এর আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এবার ইংলিশদের বিপক্ষে জয়টা কিছুটা হলেও আলাদা সাকিবদের জন্য, 'আসলে তুলনা করতে চাই না কোনো সিরিজের সঙ্গে কোনো সিরিজ। প্রতিটা ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য জেতা গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে খেলি জিতেছি, বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি সময় করিনি। ওদিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago