পেসাররা এখন বাংলাদেশ দলের অনুপ্রেরণা

বছর দশেক আগে গেলেই দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন পেসারকে দল খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হতো। দল না পেয়ে নাম মাত্র মূল্যে খেলেছেন বছরের পর বছর। যে কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। কুঁড়িতে শেষ হয়েছে অনেক সম্ভাবনাময় পেসারদের ক্যারিয়ার।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

একটা সময় ছিল স্পিনারদের উপরই নির্ভর করতো বাংলাদেশ। সেই সময়টা বদলেছে অনেক। এখন সমান তালে লড়াই করছেন পেসাররাও। সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশি উজ্জ্বল। হরহামেশাই বদলে দিচ্ছেন বহু ম্যাচের চিত্র। আর পেসারদের এমন পারফরম্যান্স দেখে অনুপ্রাণিত পুরো বাংলাদেশ দলই।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দিন দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিটি বিভাগেই টাইগাররা ছিলেন দুর্দান্ত। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে এসেছে রেকর্ড স্কোর।। এরপর বোলারদের জমাট পারফরম্যান্স। বিশেষকরে পেসারদের। ইবাদত-তাসকিনদের তোপে লড়াইটাও করতে পারেনি আইরিশরা। এর আগে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার পেছনেও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিলেন পেসাররা।

তবে প্রেক্ষাপট বছর দশেক আগে গেলেই দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন পেসারকে দল খুঁজে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হতো। দল না পেয়ে নাম মাত্র মূল্যে খেলেছেন বছরের পর বছর। যে কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। কুঁড়িতে শেষ হয়েছে অনেক সম্ভাবনাময় পেসারদের ক্যারিয়ার।

উজ্জীবিত সেই পেসারদের উত্থানে এখন প্রেরণা খুঁজছেন ফিল্ডার-ব্যাটাররাও। পেসারদের প্রশংসা করে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বললেন, 'আমরা সবাই পেসারদের দ্বারা অনুপ্রাণিত। আমাদের কাছে এখন ভালো ফাস্ট বোলিং আক্রমণ আছে। সামগ্রিকভাবে, আমরা একটি ভালো ব্যাটিং এবং পেস ও স্পিন বোলার রয়েছে। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো।'

তথাকথিত স্পিন বান্ধব উইকেট ছেড়ে সিলেটে এবার স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করেছে বাংলাদেশ। আর সেখানে সব বিভাগেই জ্বলে উঠেছে টাইগাররা। আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই নিজদের চেনা শক্তির জায়গা থেকে বেরিয়ে এমন উইকেট তৈরি করেছে বাংলাদেশ। হেরাথের ভাষায়, 'আমরা জানি না আমরা কী ধরনের উইকেট পাব, বিশেষ করে বিশ্বকাপে। যে কোনো ধরনের পিচের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। স্পিনারদের জন্য খুব বেশি সহায়তা ছিল না। কিন্তু এই পিচেও আমরা (স্পিনেও) ভালো বল করতে পেরেছি'

আইরিশদের বিপক্ষে দাপুটে জয় নিয়ে বলেন, 'আমি মনে করি এটা দলের সব সদস্যদের চমৎকার একটি দলীয় প্রচেষ্টা। বিশেষ করে তৌহিদ ও সাকিব, তারপর মুশফিক এবং ইয়াসিরও। তাদের আক্রমণাত্মক পদ্ধতি ছিল চমৎকার। আমরা এই মুহূর্তে আমাদের ক্রিকেটের একটি ব্র্যান্ড দেখাচ্ছি। আশা করি আগামীকালও আমরা একই কাজ করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago