মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-আফিফদের প্রতি তামিমের 'সফট কর্নার'

ওয়ানডেতে চার নম্বরে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন মুশফিকুর রহিম। তবে দলের প্রয়োজনে আয়ারল্যান্ড সিরিজে নেমে গেলেন ছয় নম্বরে। আর ছয়ে নেমে দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এক ইনিংসে পান সেঞ্চুরিও। কিন্তু ছয় নম্বরে নেমে ব্যাট করার প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাই ছয়ে যারা ব্যাট করেন তাদের প্রতি 'সফট কর্নার' রয়েছে অধিনায়কের।
মুশফিকের আগে ছয় নম্বরে অনেক দিন খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বর্তমানে এই পজিশনে খেলতেন আফিফ। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে 'বিশ্রাম' দেওয়ায় ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। আর অফফর্মের কারণে প্রথম ওয়ানডের স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে ছিলেন আফিফ। তৃতীয় ওয়ানডেতে তো বাদই পড়েন তিনি। পরে হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলোচনা করে মুশফিককে ছয় নম্বরে ফিরিয়ে আনেন তামিম। আর তাতে সফলতা মিলেছে।
কিন্তু কাজটা তাদের জন্য কতোটা কঠিন তা জানেন তামিম, 'শেষ সিরিজে আমি আর কোচ মিলে ঠিক করেছি ওকে (মুশফিক) আমরা ছয়ে খেলাব। কারণ, তার চারে নম্বরে সে সেখানে দারুণ খেলেছে, কিন্তু তাকে ছয়ে নামানোর কারণ, আমরা কখনো সখনো ভালোভাবে শেষ করিনি। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তার হাতে অনেক শট আছে। সেটা সে তার দুই ইনিংসে দেখিয়েছেও। সেটাই কারণ ছিল, কারণ সে আমার মনে হয় তার হাতে কম ওভার থাকলে সে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে যায়। ভাগ্য ভালো, বিষয়টা কাজে দিয়েছে, সে অবিশ্বাস্যভাবে ভালো খেলেছে।'
'ও যদি সেটা ক্যারি করতে পারে, তাহলে আমাদের জন্যই সম্ভাব্য সেরা বিষয় হবে সেটা। কারণ, ছয়ে ব্যাট করাটা খুবই ট্রিকিও হতে পারে। সবসময় ভালো শুরু হবে না। ১০০ রানে ৪ উইকেট, এমন পরিস্থিতিতেও তাকে এসে ব্যাট করতে হবে। তো এখানে যেই ব্যাট করুক, ছয়ে ব্যাট করাটা যে কারো জন্যেই ট্রিকি। কারণ আপনি রিয়াদ ভাইয়ের কথা বলেন, আফিফ, মুশি যার কথাই বলেন, যে ৬-৭ এ খেলবে, তার জন্যই আমার একটা সফট কর্নার থাকবে। কারণ, আমার সবসময়ই মনে হয় ওপেনিং পজিশনটা বাদ দিলে এটা ব্যাট করার জন্য সবচেয়ে কঠিন জায়গা,' যোগ করেন তামিম।
অবশ্য ছয় নম্বরে খেলা নতুন নয় মুশফিকের জন্য। সবশেষ বর্তমান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম আমলে খেলেছিলেন। এরপর প্রায় ছয় বছর পর আবার সেই কোচের অধীনেই ফিরলেন সেই পজিশনে। ছয় নম্বরে এখন পর্যন্ত ৩টি ইনিংস খেলেছেন। যেখানে ৩৫.৫৬ গড়ে করেছেন ১৪৫৮ রান। তবে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন আইরিশদের বিপক্ষে পাওয়া সেঞ্চুরিটিই। আগের আট সেঞ্চুরি চার নম্বরেই। ওই পজিশনে ১১৭টি ইনিংস ৪২.৩৯ গড়ে করেছেন ৪৩৬৭ রান।
Comments