কলকাতার প্রস্তাবের পর আইপিএল থেকে নাম সরিয়ে নিচ্ছেন সাকিব?

অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান সাকিব
সাকিব। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

আইপিএলের শুরু থেকে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান খেলবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশায় পার হয় কদিন। শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের পর আইপিএল খেলতে যাওয়ার কথা ছিল দুজনের। কিন্তু আপাতত জানা যাচ্ছে পারষ্পারিক সমঝোতায় আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন সাকিব। তবে লিটন আইপিএল খেলবেন।

জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে আইপিএলে এবার অন্তত পাঁচটি ম্যাচ মিস হতো সাকিবের। কারণ  বিসিবি পুরো আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দিতে চাইছে না। মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের জন্য দুই ম্যাচ। ও শেষ দিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের জন্য আরও তিন ম্যাচ খেলতে পারতেন না সাকিব।

কলকাতা নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষই সাকিবকে প্রস্তাব দেয়, তিনি যেহেতু পুরো মৌসুম খেলতে পারবেন না। কাজেই তিনি যদি নিজেকে সরিয়ে নেন তাহলে তার জায়গায় আরেকজনকে নিতে পারে তারা। সেই প্রস্তাবে নাকি রাজী হয়ে গেছেন সাকিব। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা নাইট রাইডার্স সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, 'কলকাতায় এবার বিদেশি খেলোয়াড়দের একটা সংকট আছে। কাজেই যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের পুরো মৌসুমের জন্য তীব্রভাবে চাওয়া হচ্ছে। সাকিবকে যেহেতু শেষ দিকেও পাওয়া যাবে না কাজেই আরেকজন অলরাউন্ডারের খোঁজ করা হচ্ছে।'

জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী খেলার সুযোগ থাকলেও পারষ্পারিক সমঝোতার ভিত্তিতেই নিজেকে সরিয়ে নিতে রাজী হয়েছেন সাকিব। তবে  কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিডিয়া ম্যানেজার হিমানিশ ভট্টচার্য্য দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি, 'আমাদের কাছে এখনো এই ধরণের কোন আপডেট নেই। কিছু হলে জানানো হবে।'

কলকাতায় সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের আরেক তারকা লিটন অবশ্য এমন কোন সিদ্ধান্ত নেননি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের পরই কলকাতার ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা তার। যদি বিসিবি নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে না সরে তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের জন্য লিটনকেও আইপিএলের শেষ দিকে পাবে না কলকাতা।

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago