‘৭ দিন আগে জানতে পারি পদ্মা সেতুতে প্রথম ট্রেন আমাকেই চালাতে হবে’

পদ্মা সেতুতে চলা প্রথম ট্রেনের চালক রবিউল আলম। ছবি: সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ট্রেন চলেছে। পদ্মা সেতু দিয়ে এই ট্রেন চালিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন রবিউল আলম।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে এই যাত্রা শুরু হয়। ট্রেনটি বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মাওয়া রেল স্টেশনে পৌঁছায়।

পদ্মা সেতুতে প্রথম ট্রেন চালানোর অনুভূতির কথা জানতে চাইলে রবিউল আলম বলেন, সাত দিন আগে আমি নিশ্চিত হতে পারি প্রথম ট্রেন আমাকেই চালাতে হবে। এর পর থেকে উত্তেজনার মধ্যে সময় কাটছে।

রবিউল সিরাজগঞ্জ সদরের গাজীবুর রহমান ও সুরাইয়া বেগম দম্পতির সন্তান। পাঁচ ভায়ের মেধ্য তিনি জ্যেষ্ঠ। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা রবিউল। ১৯ বছর আগে সহকারী ট্রেন চালক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমান চালক হিসেবে কাজ করছেন।

রবিউল বলেন, 'মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করেছি আমি পারবো তো। আমরা ঈশ্বরদীতে মোট ৭৩ জন চালক কর্মরত আছি। এতজনের মধ্য থেকে আমাকে বেছে নেওয়া প্রচণ্ড বিস্ময় কাজ করেছে।

'এ পর্যন্ত দেশের ৪৩টি জেলার ট্রেন চালানোর সুযোগ পেয়েছি। তবে আজকের অনুভূতি অন্যরকম। এটা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না।'

তিনি আরও জানান, এ ট্রেনটি নিয়ে তিনি গতকাল সকালে সৈয়দপুর থেকে রওনা হন। বিকেল সোয়া ৪টায় ঈশ্বরদী থেকে আবার ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায়।

পদ্মা সেতুতে প্রথম চালানো ট্রেনটিতে সাতটি কোচ ছিল। এই কোচগুলো চীন থেকে আমদানি করা। এর মধ্যে একটি খাবার কোচ ছিল। অন্যগুলোর মধ্যে ছিল একটি ভিআইপি এসি চেয়ার কোচ, একটি এটি স্লিপার কোচ, বাকিগুলি শোভন চেয়ার শ্রেণির। সব শ্রেণির মিলিয়ে ৪৪৯টি আসন ছিল ট্রেনটিতে।

এ ট্রেনের ভিআইপি কামরায় যাত্রী ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, চিফ হুইপ নূর এ আলম চৌধুরী লিটন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, নাহিম রাজ্জাক, সাগুপ্তা ইয়াসমিন এমিলি, আব্দুস সোবাহান গোলাপসহ অন্যরা।

রেলমন্ত্রী বাদে অন্যরা ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

Gaza civil defence says Israeli forces kill 23

Among the casualties were three children who were killed in an air strike on a home in Jabalia, northern Gaza

Now